নয়াদিল্লি: সেনা জওয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে এবার আরও আঁটোসাঁটো আয়োজন করল সিআরপিএফ। জম্মু-কাশ্মীরে সেনার নিরাপত্তায় এবার থেকে ব্যবহার করা হবে মাইন প্রতিরোধী গাড়ি। এক জায়গা থেকে অন্যত্র যাতায়তের জন্য ব্যবহৃত হবে বুলেট প্রুফ বাসও। সিআরপিএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল আর ভাটনাগর পিটিআই-কে জানিয়েছেন, “আমরা নিজেদের আইইডি (ইম্প্রোভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস) শক্তি যতটা সম্ভব বাড়িয়ে নিচ্ছি। নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই জওয়ানদের যাতায়তে এবার থেকেই মাইন প্রতিরোধী গাড়ি ও বুলেট প্রুফ বাস ব্যবহার করা হবে। সাঁজোয়া গাড়ির পরিবর্তে আমরা ৩০ আসন বিশিষ্ট বাসের কথাও ভাবছি।”
এমনিতে নকশাল বিরোধী অপারেশনের সময় মাইন প্রতিরোধী গাড়ি ব্যবহার করে থাকে সেনা। জম্মু-কাশ্মীরেও ক্ষেত্র বিশেষে এই বিশেষ গাড়ি ব্যবহার করা হয়। এই গাড়িতে সর্বাধিক ৬টি আসনই থাকে। ডিরেক্টর জেনারেল ভাটনাগর জানিয়েছেন, ভূস্বর্গে এই মাইন প্রতিরোধী গাড়ির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে পঞ্চাশোর্ধ্ব আসন বিশিষ্ট বাসের বদলে তিরিশ আসন বিশিষ্ট বাসের কথাও বলেছেন তিনি। এতে নিরাপত্তার বিষয়টি আরও জোরদার হবে বলেই মত তাঁর।
এখানেই শেষ নয়। জম্মু ও কাশ্মীরের সেনা ছাউনিতে নিরপত্তা আরও বাড়ানোর ভাবনাও রয়েছে তাঁদের। সিআরপিএফ প্রধান জানিয়েছেন, আইইডি বিস্ফোরণ ঠেকাতে উপত্যকায় আরও বেশি করে বম্ব স্কোয়াডের তদারকি বাড়ানো হবে। সঙ্গে, জওয়ানদের যাত্রপথে সাধারণ মানুষের অবাধ যাতায়তও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় জঙ্গি নাশকতায় প্রাণ যায় চল্লিশের উপর সেনা জওয়ানের। প্রশ্ন ওঠে, কেন বাসেই সেনাদের পাঠানো হল? বন্দোবস্ত থাকলেও কেন সেনাদের বিমান পরিষেবা দেওয়া হল না? এরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়ে দেয়, জওয়ান সহ সিআরপিএফ অফিসাররা কাশ্মীরে যাওয়ার সময় বাণিজ্যিক বিমানের পরিষেবা নিতে পারবে।