আজ লোকসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার পরেই কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে ধর্মনিরপেক্ষতা ও সংবিধান বদলে দেওয়া প্রসঙ্গে হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে বিতর্কের দাবি জানান। কিন্তু স্পিকার সুমিত্রা মহাজন তাঁকে থামিয়ে বলেন, হেগড়ে এ বিষয়ে বিবৃতি দেবেন। এরপর মন্ত্রী বলেন, ‘নাগরিক হিসেবে আমি দেশের সংবিধান লঙ্ঘন করার কথা ভাবতে পারি না। আমি দেশ, সংবিধান ও সংবিধানের প্রণেতা বি আর অম্বেদকরকে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করি। অসম্মানের প্রশ্নই ওঠে না।’
হেগড়ের এই মন্তব্যের পরেই ফের খাড়গের নেতৃত্বে কংগ্রেস সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি জানান, হেগড়েকে ক্ষমা চাইতে হবে। কংগ্রেস সাংসদদের থামিয়ে স্পিকার বলেন, ‘কারও অম্বেদকরের প্রতি অসম্মানের প্রশ্ন উঠছে না। কিন্তু কারও মন্তব্যে যদি কেউ আহত হন, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ক্ষমা চেয়ে নিলে তাঁর মর্যাদাহানি হয় না।’ এরপরেই হেগড়ে বলেন, ‘আমার বক্তব্য বিকৃত করা হয়েছে। তবে যদি কেউ আহত হয়ে থাকেন, তাহলে আমার ক্ষমা চাইতে কোনও আপত্তি নেই।’
অন্যদিকে, হেগড়ের মন্তব্য নিয়ে কংগ্রেসের বিক্ষোভের জেরে একাধিকবার মুলতুবি করে দিতে হয় রাজ্যসভার অধিবেশন। অধিবেশন শুরু হতেই কংগ্রেস সাংসদরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ফলে প্রথমে দুপুর বারোটা পর্যন্ত, পরে দুপুর দুটো পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান। কংগ্রেস সাংসদ বি কে হরিপ্রসাদ দাবি করেন, হেগড়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। চেয়ারম্যান অবশ্য তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেন, তিনিই নিয়ম লঙ্ঘন করার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা ভাবা উচিত।