নয়াদিল্লি: বাড়ির লোকের সঙ্গে আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার সময় ছত্তিশগড়ে ভুল ট্রেনে উঠে দিল্লি নেমে বিপর্যয় নাবালিকার।

পুলিশ জানিয়েছে,  দিল্লি নামার পর মেয়েটির দেখা হয় আরমান নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। লোকটি জলের বোতল বিক্রি করে। তাকে সরাই কালে খান এলাকায় নিয়ে গিয়ে  মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আরমান। তাকে সাহায্য করে তার স্ত্রী হাসিনা। তারপর তারা মেয়েটিকে ৭০ হাজার টাকায় বেচে দেয় জনৈক পাপ্পু যাদবের কাছে। মেয়েটিকে বিয়ে করবে বলে কিনে নেয় পাপ্পু।

এক পুলিশ অফিসার বলেছেন, প্রায় দু মাস মেয়েটি ফরিদাবাদে ছিল। সেখানে পাপ্পুর দৈহিক, মানসিক অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে একদিন সুযোগ পেয়ে পালায় মেয়েটি। সে পৌঁছয় হজরত নিজামুদ্দিন স্টেশনে। সেখানে তার সঙ্গে দেখা হয়ে যায় সেই হাসিনার সঙ্গেই। হাসিনার দেওয়া মাদক মেশানো পানীয় খেয়ে আধা অচেতন হয়ে গেলে মেয়েটিকে হাসিনা টাকার বিনিময়ে তুলে দেয় জনৈক মহম্মদ আফরোজের হাতে। স্টেশনের কাছেই মেয়েটিকে ধর্ষণ করে আফরোজ। কোনওক্রমে সে আফরোজের কব্জা থেকে পালায়। এক পথচারী তাকে উদভ্রান্ত অবস্থায় দেখে পিসিআরে ফোন করেন। ১৫ বছরের মেয়েটিকে  হুমায়ুনের স্মৃতিসৌধের কাছেই একটি স্থান থেকে উদ্ধার করে দিল্লি মহিলা কমিশন।  অপহরণ করে ধর্ষণ, বিয়ের প্রলোভন দেখানো, অপরাধ ঘটানোর উদ্দেশ্য বিষপান করানা প্রভৃতি নানা অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩, ৩৬৬, ৩৭৬, ৫০৬ সহ নানা ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শিশুদের যৌন নিগ্রহ থেকে রক্ষা করা সংক্রান্ত পকসো আইনেও মামলা রুজু হয়েছে।

এইমস-এ শারীরিক পরীক্ষার পর মেয়েটির কাউন্সেলিং চলছে এখন।

সরাই কালে খান, ফরিদাবাদে একাধিক জায়গায় তল্লাশির পর পাপ্পু যাদব ও মহম্মদ আফরোজ ধরা পড়েছে। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।