বরেলি: ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১৫ বছরের নাবালিকা। এর ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিল সে। শেষপর্যন্ত গর্ভাবস্থাজনিত জটিলতার কারণেরই উত্তরপ্রদেশের বরেলি জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হল ওই কিশোরীর। রবিবার পুলিশ এ কথা জানিয়েছে। গত সপ্তাহে শনিবার রাতে মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক সুবোধ শর্মা বলেছেন, মেয়েটিকে অত্যন্ত অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তার শারীরিক অবস্থা ছিল খুবই গুরুতর। ভর্তির পর তার অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা সব ধরনের চেষ্টাও করেও তার প্রাণরক্ষা করতে পারেননি।

বরেলির পুলিশ সুপার রোহিত সিংহ সাজওয়ান জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তে বলা হয়েছে, সংক্রমণ জনিত কারনে নির্যাতিতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত কিশোরীর ভিসেরা সংরক্ষিত রাখা হয়েছে।

১৫ বছরের ওই নাবালিকা মানসিকভাবে সুস্থ ছিল না। তার বাবা জানিয়য়েছেন, তাঁদের মেয়ে যে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা , তা তাঁরা গত ৬ ডিসেম্বর জানতে পারেন। তিনি জানিয়েছেন, গত বছরের জুন মাসে তাঁর নাবালিকা মেয়েকে আখের খেতে ধর্ষণ করে ৩০ বছরের এক ব্যক্তি। কোনও কাজে বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিল মেয়েটি। সেই সময়ই তাকে আখের খেতে নিয়ে গিয়ে এই নৃশংস অত্যাচার চালায় ওই দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, ঘটনার কথা কাউকে জানালে তার পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত। এভাবে হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য করেছিল দুষ্কৃতী।

গত ডিসেম্বরেই নির্যাতিতার বাবা ফতেহগঞ্জ পশ্চিম থানায় তাঁর মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতেই পকসো আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির সংশ্লিষ্ট ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

ফতেপুর পশ্চিম থানার স্টেশন হাউস অফিসার অশ্বিনী কুমার জানিয়েছেন, এই মামলায় চার্জশিটও দায়ের হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের কাছে নির্যাতিতার বাবা গর্ভপাতের আর্জি জানিয়ে ছিলেন। কিন্তু গর্ভাবস্থা অনেক দিন পেরিয়ে গিয়েছে, এই যুক্তি দেখান চিকিৎসকরা। এ জন্য তাঁর আর্জি মঞ্জুর হয়নি।