আমদাবাদ: গুজরাতের আহমেদাবাদের জমি ব্যবসায়ী মহেশ শাহ বিপুল অঙ্কের কেন্দ্রের আয় ঘোষণা প্রকল্প (আইডিএস)-এ ১৩,৮৬০ কোটি নগদ টাকার ঘোষণা করে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। গতকাল নাটকীয়ভাবে তাঁকে দেখা যায় স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে। টিভিতে সরাসরি অনুষ্ঠান চলাকালেই তাঁকে আটক করেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় সরখেজ থানায়।তার আগে টেলিভিশন চ্যানেলে মহেশ শাহ দাবি করেন, আয়কর দফতরের কাছে তিনি যে চোখ কপালে তুলে দেওয়ার মতো নগদ টাকা নিজের কাছে থাকার ঘোষণা করেছিলেন, তা তাঁর নয়। এই টাকা কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়ী ও আমলার। মহেশ শাহ আরও বলেছেন, টাকার ভাগীদারদের নাম তিনি আয়কর আধিকারিকদের জানাবেন।

প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা হিসেব বহির্ভূত আয়! আটক গুজরাতের ব্যবসায়ী

তিনি যে বেআইনি কাজ করেছেন, তা স্বীকার করে মহেশ শাহ বলেছেন, বাধ্য হয়ে এবং মোটা অঙ্কের কমিশন পাওয়ার জন্য তিনি ওই টাকা নিজের বলে ঘোষণা করেছিলেন।

এত পরিমাণ অর্থ নগদ থাকার ঘোষণা করার পর মহেশ শাহ কর হিসেবে প্রথম কিস্তি হিসেবে ১,৫৬০ কোটি টাকা না দেওয়ায় আয়কর দফতর গত ২৯ ও ৩০ নভেম্বর এবং ১ ডিসেম্বর তাঁর বাড়ি ও অফিসে তল্লাশি চালায়।

মহেশ শাহ দাবি করেছেন, যাদের টাকা তারা শেষ মুহুর্তে পিছিয়ে যাওয়ায় তিনি প্রথম কিস্তির কর জমা দিতে পারেননি।

মহেশ শাহর দাবি, তিনি গত ১০ দিন আহমেদাবাদের বাইরে ছিলেন। সবে মুম্বই থেকে ফিরেছেন। প্রথমে অনুমান করা হচ্ছিল, তিনি আয়কর বিভাগ বা এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টের আধিকারিকদের সামনে হাজির হবেন। কিন্তু সবাইকে তাক লাগিয়ে তিনি গুজরাতি টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে প্রকাশ্যে আসেন। তাঁর দাবি, তিনি নির্দোষ। প্রকৃত সত্য বেরিয়ে এলে লোকে তাঁর প্রশংসা করবে বলেও টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে দাবি করেছেন তিনি।

মহেশ শাহ তাঁর জীবনহানিরও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। টিভিতে অনুষ্ঠান চলাকালেই আয়কর আধিকারিকদের সঙ্গে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর স্টুডিও থেকেই মহেশ শর্মাকে সারখেজ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাঁকে আয়কর ও ইডি-র হাতে তুলে দেওয়া হয়।