নয়াদিল্লি: এক পড়ুয়ার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা ঘিরে ফের ছাত্র বিক্ষোভে উত্তাল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় (জেএনইউ) চত্বর। ৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘেরাও উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা। ১৫ অক্টোবর থেকে নিখোঁজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজির ছাত্র নাজিব আহমেদ। পড়ুয়াদের অভিযোগ, এবিভিপির সদস্য এক ছাত্রের সঙ্গে বচসার পরের দিন থেকেই নিখোঁজ ওই ছাত্র। ঘটনার পর বেশ কয়েকদিন কেটে গেলেও, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযুক্তদের বাঁচাতে থানায় এফআইআর করেনি বলে অভিযোগ। নিখোঁজ ছাত্রের পরিবারের তরফে অভিযোগ দায়ের হলে, গতকাল মামলা রুজু করে পুলিশ।

যদিও উপাচার্য ঘটনায় নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন। রাতে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, নিখোঁজ ছাত্রকে খোঁজার জন্য সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপই নেওয়া হয়েছে।



বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহি মান্ডভি হস্টেলে নির্বাচনের আগেই গত শুক্রবার নিখোঁজ হন বায়োটেকনলিজ-র প্রথম বর্ষের পড়ুয়া নাজিব আহমেদ। ঘটনার আগে এবিভিপি-র কয়েক জন ছাত্রের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছিল তাঁর। অভিযোগ, এর পর থেকেই আর খোঁজ মিলছে না নাজিবের।

বাম ছাত্রদের অভিযোগ, হস্টেলে সাম্প্রদায়িকতার বিষ ছড়াচ্ছেন এবিভিপি-র পড়ুয়ারা। হস্টেলের দেওয়ালগুলি ঢাকা পড়েছে সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক দেওয়াল লিখনে। তাতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের জন্য বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যও লেখা থাকছে। তবে ছাত্র নিখোঁজের ঘটনার সঙ্গে নিজেদের জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে এবিভিপি।

যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ এই ঘটনায় বিজেপির ছাত্র সংগঠনের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছে।

ইতিমধ্যে নাজিব আহমেদের হদিশ পেতে বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়েছে পুলিশ। তাঁর ব্যাপারে খবর দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারেরও ঘোষণা করেছে। এদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ জেএনইউ-র পরিস্থিতি সম্পর্কে দিল্লি পুলিশের কাছ থেকে অবহিত হয়েছেন।