নয়াদিল্লি: সরকারি হাসপাতালে  সাতজন ডাক্তার, কিন্তু সার্জেন মাত্র একজনই। তিনি আবার ইম্ফলে ট্রেনিং ক্যাম্পে গিয়েছেন। এদিকে  হাসপাতালে ভর্তি এক মহিলা রোগীর এমন এখন-তখন অবস্থা যে অপারেশন না করলে তিনি হয়তো মারাই যাবেন। অতঃপর নিজের কেন্দ্রের বাসিন্দা ওই রোগিনীর জীবন বাঁচাতে রাজনৈতিক কর্মসূচি বাতিল করে ছুরি-কাঁচি ধরলেন মিজোরামের এক বিধায়ক। ডাঃ কে বেইছুয়া নামে ওই বিধায়ক ইম্ফল রিজিওনাল কলেজের ডিগ্রিধারী এমবিবিএস স্নাতক, বিধায়ক হওয়ার আগে চুটিয়ে প্র্যাকটিসও করেছেন! মিজোরামের সাইহা হাসপাতালের ঘটনাটি দিনকয়েক আগের।


৫২ বছর বয়সি বেইছুয়া বলেছেন, আমি খবর পাই, ৩৫ বছরের ওই মহিলার তলপেটে প্রচন্ড যন্ত্রনা হচ্ছে। পেটে একটা বড় ফুটো আছে, জরুরি অপারেশন  করতে হবে, নইলে হয়ত বাঁচানো যাবে না।  তখনই রাজনৈতিক কর্মসূচি ফেলে ছুটে যাই অপারেশন থিয়েটারে।  শুনেছি মহিলা এখন ভাল আছেন।

রাজনীতির ময়দানে নামতে ২০০৮ সালে বিধানসভা নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েও হেরে যান ডাঃ বেইছুয়া। ২০১৩-য় এমএনএফের টিকিটে জেতেন ২২২ ভোটে, কংগ্রেস বিধায়ক এস হিয়াটোকে হারিয়ে। ১৯৯১ সালে মেডিকেল ডিগ্রি পান। ২০১৩ সালে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টে যোগদানের আগে প্রায় ২০ বছর প্র্যাকটিসও করেছেন। তিনি বলেছেন, কেরিয়ারে কয়েকশ অপারেশন  করেছি। শেষ অপারেশনটা করেছি ২০১৩-র ডিসেম্বরে, এমএলএ হওয়ার পর।

সাইহা জেলার ডেপুটি কমিশনার এন চাখাই বলেন, হাসপাতালে ডাক্তারের অভাবের কথা বলতে গিয়ে নিজেই প্রশাসনের এক বৈঠকে সাইহা হাসপাতালে নিজে হাতে অস্ত্রোপচার করার কথা বলেন ডাঃ বেইছুয়া।