মুম্বই:  মরাঠি ভাষা নিয়ে আবার আসরে মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা (এমএনএস)। অভিযোগ, মরাঠি ভাষা ব্যবহারের সুযোগ অ্যামাজন-এর অ্যাপ্লিকেশনে না-থাকায় ওই বহুজাতিক সংস্থার সঙ্গে বিবাদ চলছিল এমএনএসের। ওই বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আগামী ৫ জানুয়ারি মামলার শুনানির এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরেকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এর পরেই, এমএনএস কর্মী-সমর্থকেরা অ্যামাজনের পুণে ও মুম্বইয়ের দফতর এবং গোডাউনে হামলা চালান।

এমএনএস এবং অ্যামাজনের দ্বন্ধ শুরু গত অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় থেকে। এমএনএসের তরফে জানানো হয়েছে, অ্যামজানের অ্যাপে মরাঠি ভাষা নেই। তাই ওই ভাষা অ্যাপ যুক্ত করার আবেদন জানিয়ে  অ্যামাজনকে চিঠি দিয়েছিলেন অখিল চিত্রে নাম এক এমএনএস নেতা। রাজ ঠাকরের দলের অভিযোগ, ওই চিঠির কোনও উত্তর না দিয়ে মামলা করেছে। অ্যামাজনের অভিযোগ, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ’নো মরাঠি, নো অ্যামাজন‘ প্রচার শুরু করে এমএনএস। ওই প্রচার চলাকালীন এমএনএস কর্মীরা অ্যামাজনের পোস্টার ছিঁড়ে দেন বলে অভিযোগ। এর ভিত্তিতেই আদালতের দ্বারস্থ হন অ্যামাজন কর্তৃপক্ষ। রাজকে মামলার শুনানির দিন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশে আগুনে ঘি পড়ে।

মুম্বইয়ের চান্দিভেলি এবং পুণের খোন্দওয়া এলাকায় গত শুক্রবার অ্যামাজনের দফতর এবং গোডাউনে এমএনএস কর্মীরা ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। হামলার ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে সন্তোষ ধুরি নামে এক এমএনএস নেতা বলেন, ’’আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা অ্যামাজনের অভিযোগ গিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। রাজ সাহেবকে আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশে তাঁরা প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। আমরা অ্যামাজনের অ্যাপে মরাঠি ভাষা যুক্ত করার আবেদন জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলাম। কিন্তু অ্যামাজন কোনও কথা না বলেই মামলা করে বসল।‘‘

মরাঠা ভাষা নিয়ে এমএনএসের এই অবস্থান নতুন নয়। গত অক্টোবরে দক্ষিণ মুম্বইয়ের কোলাবায় এক গয়না ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এক এমএনএস নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই ব্যবসায়ী এক মহিলার সঙ্গে মরাঠি ভাষায় কথা বলতে চাননি বলে এমএনএস নেতা চড়াও হয়েছিলেন তাঁর উপরে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, আগামী ২০২২ সালে মহারাষ্ট্রু পুর-নির্বাচন। ওই ভোট যত এগিয়ে আসবে, মরাঠা অস্মিতার কথা তুলে ততই আক্রমণাত্মক হবে রাজ ঠাকরের দল।