১৭ অক্টোবর লুধিয়ানায় খুন করা হয় ওই আরএসএস কর্মীকে। এ নিয়ে গাজিয়াবাদের নাহালি গ্রামে তদন্তে যান এনআইএ কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের সন্ত্রাস দমন শাখা বা এটিএস কর্মীরা। তাঁরা এক সন্দেহভাজন অস্ত্র কারবারীর বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান, অভিযোগ, ওই অস্ত্র কারবারীর আরএসএস কর্মী হত্যায় হাত রয়েছে।
সে সময় নারী পুরুষ নির্বিশেষে স্থানীয় বাসিন্দারা এনআইএ ও এটিএস কর্মীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তদন্তকারী টিমের ওপর তারা গুলি চালায়, পাথর ছোঁড়ে। এছাড়া অসংখ্যবার রাস্তা অবরোধ করে কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হয়। খুনের চেষ্টা ও দাঙ্গা বাধানোর অভিযোগে ৫৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে নাজিম নামে একজন। চেষ্টা চলছে অন্যদের গ্রেফতার করার।
জানা গিয়েছে, তদন্তকারী টিমকে দেখে মালুক নামে ওই অস্ত্র ব্যবসায়ী ও তার বাড়ির লোক চিৎকার করে পড়শিদের সাহায্য চায়। তখন একদল মহিলা তাদের সাহায্যে আসে। এরা পুলিশের গাড়িতে পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। গাড়ি ভাঙচুরও করা হয়। ঝামেলার সুযোগে পুলিশের গাড়ি থেকে লাফিয়ে পালায় মালুক। এই সময় গুলিবিদ্ধ হন তাহজিব খান নামে ওই কনস্টেবল।
ঘটনার পর ওই এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিরাট পুলিশ বাহিনী। মালুককে ধরার চেষ্টা চলছে বলে এনআইএ জানিয়েছে।