ডিব্রুগড়: এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ছিল তাদের বিরুদ্ধে। সরকারি আদালত নয়, বিচারের দায়িত্ব মাথায় তুলে নিল জনতা।


গতকাল বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ অরুণাচল প্রদেশের লোহিত জেলার তেজু পুলিস স্টেশনে হানা দেয় অন্তত ৮০০ মানুষ। দাবি করে, ২ অভিযুক্ত সঞ্জয় সোবোর ও জগদীশ লোহারকে তাদের হাতে তুলে দিতে হবে। পুলিশ রাজি না হওয়ায় থানায় ঢুকে পড়ে মানুষ। লকআপ ভেঙে অভিযুক্তদের টেনে বার করে আনে স্থানীয় বাজারে। শুরু হয় গণপিটুনি। মৃতদেহ রাস্তার মোড়ে ফেলে রেখে জনতা চলে যায়।

৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ছিল সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে। অপরাধে তাকে সাহায্য করে জগদীশ। মেয়েটির বাড়ি স্থানীয় নামগো গ্রামে, ১২ তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল সে। ১৭ তারিখ বাড়ির থেকে মাত্র ৪০০ মিটার দূরে চা বাগানের কাছে উদ্ধার হয় তার নগ্ন, ক্ষতবিক্ষত দেহ।

১৮ তারিখ পুলিশ গ্রেফতার করে ওই চা বাগানের শ্রমিক সঞ্জয় ও জগদীশকে। সঞ্জয় স্বীকার করে, মেয়েটিকে কোনও কিছুর লোভ দেখিয়ে বাগানে ডেকে নেয় সে, তারপর ধর্ষণ করে। শিশুটি কান্নাকানি শুরু করলে জগদীশের কুকরি দিয়ে তার মাথা টুকরো করে দেয় সে। আদালত তাদের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়।

এরপরই গতকাল থানায় ঢুকে তাদের টেনে বার করে পিটিয়ে মারে স্থানীয় মানুষ।

খবর পেয়ে লোহিত জেলা পুলিশের ডেপুটি কমিশনার. ডিআইজি (ইস্টার্ন রেঞ্জ), এসপি সহ বড় কর্তারা তেজু শহরে যান। তাঁরা জানিয়েছেন, এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।