গুয়াহাটি: জীবনে এমন ঘটনার যে সম্মুখীন হতে হবে, এমনটা হয়ত ভাবতেও পারেননি গুয়াহাটির এক চিকিৎসক। এমন একটি কারণে অস্ত্রোপচারের ঘটনায় তিনি নিজেও বিস্মিত। ৩০ বছরের এক ব্যক্তির মূত্রথলি থেকে অস্ত্রোপচার করে বের করে হল মোবাইল চার্জারের কর্ড। যদিও ওই যুবক প্রথমে চিকিৎসককে ভুল পথে চালনা করেছিল। সে জন্য প্রথমে ওই ব্যক্তির পাকস্থলীতে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল ওই চিকিৎসককে।


গুয়াহাটির একটি বেসরকারি হাসপাতালের কনসালট্যান্ট সার্জেন ওয়াল্লিউল ইসলাম শুক্রবার জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে ওই যুবক তাঁর কাছে এসে জানায় যে, হেডফোনের কেবল দুর্ঘটনাবশত গিলে ফেলায় তার পেটে ব্যাথা করছে।

ইসলাম বলেছেন, আসলে ওই যুবক মিথ্যে বলেছিল। কারণ, তার গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ট্র্যাক্টে অস্ত্রোপচার করেও কিছু পাওয়া যায়নি। কিন্তু এক্স-রে তে তার মূত্রথলিতে মোবাইল চার্জারের তারের হদিশ মেলে। ওই যুবক পুরুষাঙ্গের মধ্যে দিয়ে মোবাইল চার্জিংয়ের তার ভেতরে ঢুকিয়েছিল।

চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই কর্ডটি বের করা হয়েছে এবং রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন।

সার্জেন বলেছেন,ওই যুবক সত্যি কথা বললে হয়ত অস্ত্রোপচার এড়ানো যেত। পেনাইল ইউরেথ্রার মাধ্যমেই ওই তার বের করা যেত। যেখান দিয়ে সে তারটি ভেতরে ঢুকিয়েছিল।

এমন আজব ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন চিকিৎসক ইসলাম।  তিনি বলেছেন, অস্ত্রোপচারের বিস্ময়! ২৫ বছরের অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতার পরও এ ধরনের ঘটনায় আমাকে বিস্মিত ও স্তম্ভিত হয়ে যেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে আমার বুদ্ধিমত্তা ও অস্ত্রোপচার সংক্রান্ত দক্ষতাই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে যায়.....৩০ বছরের যুবক অসাবধানতাবশত হেডফোন গিলে ফেলার কথা বলে...অপারেশন করেও তার গ্যাস্ট্রোইনটেসটিনাল ট্র্যাক্টে কিছুই পাওয়া যায়...কিন্তু মূত্রথলিতে মোবাইল চার্জারের কর্ডের হদিশ মেলে...সবাই জানতে চাইবেন...কীভাবে তা ভেতরে ঢুকল (পেনাইল ইরেথ্রার মাধ্যমে তা ওই যুবকের মূত্রথলিতে পৌঁছেছিল)...ওই যুবকের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে...তবে এই বিশ্বে সত্যিই সবকিছু সম্ভব!

কিন্তু কীভাবে মোবাইল ফোনের চার্জারের কর্ড ঢুকে গেল যুবকের পুরুষাঙ্গে! চিকিৎসক জানিয়েছেন, যৌন তৃপ্তি পাওয়ার জন্য ওই যুবক তাঁর গোপনাঙ্গে বিভিন্ন জিনিস প্রবেশ করাতেন। ইসলাম বলেছেন, ‘এটা ইউরিথ্রাল মাস্টারবেশন। এই ক্ষেত্রে ইউরেথ্রার সঙ্গে সংযুক্ত ইউরিনারি ব্লাডারে তারটি জড়িয়ে গিয়েছিল। ২৫ বছরের কেরিয়ারে কখনও এরকম রোগী দেখিনি।’ রোগীর পরিচয় প্রকাশ করেননি চিকিৎসক। রাজ্যের বেশিরভাগ বেসরকারি হাসপাতাল করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র হিসাবে ঘোষিত হয়েছে। তাই বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে ওই যুবকের।