নয়াদিল্লি: কর্নাটক বিধানসভা ভোটের প্রচারে রাহুল গাঁধীকে পাল্টা নরেন্দ্র মোদীর। রাহুল তাঁকে দিনকয়েক আগে চ্যালেঞ্জ করেছেন, দুর্নীতি সমেত নানা ইস্যুতে ১৫ মিনিট তাঁকে সংসদে বলার সুযোগ দিলে তিনি যা বলবেন, তারপর নরেন্দ্র মোদী ১৫ মিনিট বসে থাকতে পারবেন না! আজ মোদী পাল্টা তাঁকে কটাক্ষ করেছেন, কংগ্রেস সভাপতির সাহস থাকলে কর্নাটকে এসে হিন্দি, ইংরেজি বা তাঁর মাতৃভাষায় কাগজ দেখে না পড়ে নিজের দলের সিদ্দারামাইয়া সরকারের কাজকর্ম নিয়ে ১৫ মিনিট ভাষণ দিয়ে যান। কর্নাটকের মানুষ নিজেদের যা বোঝার, বুঝে নেবেন।
প্রধানমন্ত্রীর কটাক্ষ, শ্লেষ এখানেই থামেনি। তিনি এও বলেন, উনি ১৫ মিনিট বলবেন, সেটাই অনেক বড় ব্যাপার। যখন শুনলাম উনি বললে আমি নাকি বসেই থাকতে পারব না, তখন ভাবলাম, কী দারুণ দৃশ্য সেটা! স্যার, আপনি কংগ্রেস সভাপতি। আপনার সামনে কী করে বসতে পারি আমরা? আপনি হলেন গিয়ে 'নামদার' লোক, আর আমি 'কামদার'। আপনার সামনে বসার যোগ্যতাই নেই আমাদের!
কর্নাটকে এভাবেই ভোটপ্রচার শুরু করলেন মোদী।
ভোটমুখী দক্ষিণের এই রাজ্যে আগামী কয়েকদিনে ১৫টি সভা করবেন তিনি। এদিনের প্রথম জনসভায় মোদী দাবি করেন, রাজ্যে বিজেপির অনুকূলে মামুলি কোনও হাওয়া নয়, প্রবল ঝড় উঠেছে।
ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার দুর্নীতির পাঁকে জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করে কেন্দ্রের উন্নয়নের প্রয়াসে বাধা দিচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
রাহুলকে নিশানা করে মোদী এও বলেন, বর্তমানে যারা কংগ্রেসের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে কোনও উপলব্ধিই নেই।
মে দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েও রাহুল তাঁর সরকারের আমলে গ্রামে গ্রামে ১০০ শতাংশ বিদ্যুতায়নের কাজ সম্পূর্ণ করায় জড়িত কর্মীদের অবদান স্বীকার করেননি বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, দেশের ইতিহাসে ২৮ এপ্রিল দিনটি স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে, কেননা আমাদের 'পরিশ্রমী মানুষেরা' বিদ্যুত পরিষেবার বাইরে পড়ে থাকা দেশের শেষ গ্রাম, মণিপুরের লেইসাঙেও তা পৌঁছে দিয়েছেন সেদিন। কিন্তু তাঁদের প্রশংসায় একটা শব্দও শোনা যায়নি কংগ্রেসের নব্য নেতার মুখে।