পটনা: দলিতদের উন্নয়নে মোদী সরকার 'মূলক রেকর্ড' গড়েছে বলে দাবি করলেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অভিমত, সমাজের অবহেলিত মানুষজনের মধ্যে বিজেপির জনপ্রিয়তা দেখে হিংসায় জ্বলে পুড়ে অন্য রাজনৈতিক দলগুলি কুৎসা ছড়াচ্ছে।
যে পিটিশনের জেরে তফসিলি জাতি ও উপজাতি নির্যাতন রোধ আইনের বিধি লঘু করা হয়েছে বলে অভিযোগ, তাতে কেন্দ্রকে পক্ষও করা হয়নি বলে জানান তিনি, একটি রিভিউ পিটিশন পেশ করা হয়েছে বলে জানান।
রবিশঙ্কর বলেন, দলিতদের কল্যাণে আমাদের রেকর্ড নজির গড়েছে। তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইন হয়েছে ১৯৮৯ সালে। কিন্তু সেই আইন আরও ধারালো হয়েছে ২০১৫-য়। মুখে কালি লেপে দেওয়া, জোর করে মাথা মুড়িয়ে দেওয়া, ঘোড়ায় চড়তে না দেওয়া, এ ধরনের অপরাধকেও তার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


রবিশঙ্কর আরও সওয়াল করেন, বিজেপির সবচেয়ে বেশি এমপি, বিধায়ক, মেয়র, জেলা পরিষদ চেয়ারপার্সন, গ্রামের মুখিয়া তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায় থেকেই এসেছেন। বলেন, এতেই আতঙ্কিত অন্য রাজনৈতিক দলগুলি, যারা ওই গরিব দলিতদের বরাবর ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করেছে।

কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি প্রশ্ন করেন, বিজেপির সমর্থনে কেন্দ্রে ভিপি সিংহের সরকার ক্ষমতায় আসার আগে পর্যন্ত কেন বি আর অম্বেডকরকে ভারতরত্ন দেওয়া হয়নি? অন্যদিকে একজন দলিত, রামনাথ কোবিন্দকে আমরা রাষ্ট্রপতি করেছি।
দলিত ইস্যুতে কেন্দ্রের এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে সরব বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা) নেত্রী মায়াবতীকেও একহাত নিয়ে ওঁর আমলেও তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনের অপব্যবহার ঠেকানোর নির্দেশ দিয়ে দুটি আইন পাশ হয়েছে বলে দাবি করেন রবিশঙ্কর। বলেন, তিনি যে সামাজিক গোষ্ঠীর হয়ে লড়ার দাবি করে থাকেন, তাদের স্বার্থের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে এতে।
সুপ্রিম কোর্টে পেশ করা কেন্দ্রের রিভিউ পিটিশন নাকচ হয়ে কেন্দ্র অর্ডিন্যান্স আনার কথা ভাববে কিনা, প্রশ্ন করা হলে রবিশঙ্কর বলেন, আমরা খুবই শক্তিশালী রিভিউ পিটিশন দিয়েছি, আমরা এটা সুনিশ্চিত করব যে দলিত স্বার্থের সঙ্গে আপস হবে না। সংবিধানের নবম তফসিলে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইন, সংরক্ষণের ধারাগুলি অন্তর্ভুক্তির দাবির ব্যাপারে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে উদ্বেগের ফলেই এমন দাবি উঠছে।