নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সারা দেশের নজর যখন ছিল টিভির পর্দায়, ৫ রাজ্যের জনতা কী রায় দিলেন ব্যালটবাক্সে, বিজেপি ক্ষমতা ধরে রাখছে না পালাবদল হচ্ছে, জানতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় ছিল দেশবাসী, তখন সেই সাসপেন্স স্পর্শ করেনি নরেন্দ্র মোদিকে। নিজের পূর্বনির্ধারিত ঠাসা কর্মসূচিতে ব্যস্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলে টানটান তীব্র উত্তেজনা থাকলেও ভোটের ফল নিয়ে কোনও আগ্রহ দেখাননি তিনি। রুটিন কাজকর্ম করেছেন, বুধবারের স্বাস্থ্য সম্মেলনের জন্য নিজের ভাষণ তৈরি করেছেন, সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে হাজির থেকেছেন। প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবারটাও আর পাঁচটা দিনের মতোই চরম ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছেন বলে জানান তাঁর এক সহকারী। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি সংসদে পৌঁছন, মিডিয়ার সঙ্গে আলাপচারিতায় আমজনতার কাছে গুরুত্বপূর্ণ সব ইস্যুতে স্বাস্থ্যকর আলোচনা, বিতর্কের ডাক দেন। লোকসভায় হাজির হন। সেদিন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ি ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমারের প্রতি শোক জানিয়ে সভা দিনের মতো মুলতুবি হয়ে যায়। অপরাহ্নে তিনি উত্তরপ্রদেশের নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচির অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। তারপর অন্যান্য সরকারি বৈঠকে বসেন। ১৬ ডিসেম্বর উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি, প্রয়াগরাজের বেশ কয়েকটি উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সূচনা করবেন তিনি। বিকেলের দিকে চার রাজ্যে বিজেপির পরাজয়ের ট্রেন্ড স্পষ্ট হয়ে গেলেও সেদিকে মোদি নজর ঘোরাননি। সরকারি অফিসাররা জানান, তখন বুধবারের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সম্মেলনের ভাষণ চূড়ান্ত করতে ব্যস্ত ছিলেন মোদি।
এমনকী বুধবার, হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে দলের ধাক্কা খাওয়ার পরদিনও তিনি সকাল সকাল সরকারি কাজ শুরু করেন, সকাল ৯টায় বিজ্ঞান ভবনে স্বাস্থ্য সম্মেলনে যোগ দেন, সেখান থেকে সোজা চলে যান সংসদে। সেখান সংসদীয় বিষয়ে দলের সামনের সারির নেতাদের সঙ্গে কথা সেরে মহারাষ্ট্রের কল্যাণ, পুণের উন্নয়নের কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখেন। ১৮ ডিসেম্বর সেখানে যাচ্ছেন তিনি। ১৪, ১৫ ডিসেম্বর কেরল, তামিলনাড়ুর বুথ স্তরের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে ভিডিও কলের পরিকল্পনাও চূড়ান্ত করেন।