সুরেন্দ্রনগর: কংগ্রেসের সভাপতি পদে ভোট যতই হোক, ভোটের ফল কী হবে তা আগে থেকেই সকলে জানে। সাংগঠনিক পোলে রিগিং করার দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে তাদের। গুজরাতের সুরেন্দ্রনগরে ভোটপ্রচারে গিয়ে এ কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।


শতাব্দীপ্রাচীন দলটিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন, তোমাদের দলেই যদি গণতন্ত্র না থাকে, দেশে কী করে গণতন্ত্রকে সম্মান দেবে তোমরা?

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস বারবার আওড়ায়, সহিষ্ণুতা, সহিষ্ণুতা, সহিষ্ণুতা। কিন্তু ওরাই তো তরুণদের চুপ করিয়ে রাখে। কংগ্রেসের শেহজাদ পুনাওয়ালা যেভাবে রাহুল গাঁধীর সভাপতি নির্বাচিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেই প্রসঙ্গ তুলে মোদী বলেন, স্রেফ এই প্রশ্ন তোলার সাহস দেখানোয় শেহজাদকে তাদের সবকটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দিয়েছে কংগ্রেস। গোটা দল বয়কট করেছে তাঁকে।

জনতাকে তিনি প্রশ্ন করেন, জানেন, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন হবে শিগগিরই? আর নির্বাচনের ফল কী হবে তা তো সক্কলের জানা। কে জিতবেন বলুন তো? জনতা সমস্বরে জবাব দেন, রাহুল গাঁধী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই কংগ্রেসের চরিত্র। দেশের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন ঠিক করার সময় সর্দার প্যাটেল জওহরলাল নেহরুর থেকে বেশি ভোট পান। সেই ভোটে জালিয়াতি হয়, জিতে যান নেহরু। মোরারজি দেশাইয়ের সঙ্গেও এমনটাই ঘটেছিল।

তাঁর আরও মন্তব্য, গুজরাতিতে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, কুয়োয় জল থাকলে তবেই তো বালতি ভরবে। আরে, তোমাদের দলেই যদি গণতন্ত্র না থাকে, তবে দেশে কী করে গণতন্ত্রের শাসন কায়েম করবে তোমরা? প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর।

বক্তৃতায় তাঁর কথা উল্লেখ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে টুইট করে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শেহজাদ পুনাওয়ালা। বলেছেন, চাপের মুখে নতিস্বীকার করবেন না তিনি, পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াই চলবে।

[embed]https://twitter.com/Shehzad_Ind/status/937257768876064768[/embed]