আমদাবাদ: বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে গুজরাতে বর্ণাঢ্য রোডশো করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সবরমতী আশ্রমে গিয়ে মহাত্মা গাঁধীকে ‘মানবিকতার বৃহৎ প্রবক্তা’ হিসেবে উল্লেখ করলেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।


বুধবার, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীকে আমদাবাদের সর্দার বল্লবভাই পটেল বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান মোদী। সেখান থেকে দুই রাষ্ট্রনেতা রাজপথ ধরে রোডশো করে যান সবরমতী আশ্রমে।


দীর্ঘ ৮ কিলোমিটার রাস্তা জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। এর জন্য ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। রাস্তার দুধারে বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ৫০টি মঞ্চ তৈরি করা ছিল। সেখানে ভিভিআইপি অতিথিদের মনোরঞ্জনে বিভিন্ন ট্রুপ পারফর্ম করে।


রাস্তার দুধারে প্রচুর মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদের সকলের হাতে ছিল ভারত ও ইজরায়েলের পতাকা। দুই রাষ্ট্রনেতা গাড়ি মধ্যে থেকে উপস্থিত জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন। তাঁদের ধন্যবাদ জানান।



এদিন ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সারা নেতানিয়াহু। সুসজ্জিত রাস্তা দিয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার চলার পর রোডশো শেষ হয় সবরমতী আশ্রমে। সেখানে প্রায় ২০ মিনিট ব্যয় করেন তাঁরা।


আশ্রমের মধ্যে মহাত্মা গাঁধীর বাসভবন ‘হৃদয় কুঞ্জ’ প্রদর্শন করেন দুই রাষ্ট্রনেতা। নেতানিয়াহুকে মহাত্মা গাঁধীর ঘর ও তাঁর ব্যবহৃত সামগ্রী দেখান মোদী। সেখানে বিখ্যাত চরকায় হাত লাগান সস্ত্রীক ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।



শুধু তাই নয়। এদিন দুজনকে একসাথে ঘুড়ি ওড়াতেও দেখা যায়। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন পরই গুজরাতে শুরু হতে চলেছে ‘উত্তরায়ণ’ উৎসব। এই উৎসবে রাজ্যজুড়ে ঘুড়ির প্রতিযোগিতা হয়। মোদী ও নেতানিয়াহু এদিনই কার্যত সেই উৎসবের সূচনা করে দেন।


এদিন সবরমতী আশ্রম পরিদর্শন করার পর নিজের অতিথিদের লগ-বুকে মহাত্মা গাঁধীকে মানবিকতার বৃহৎ প্রবক্তা হিসেবে উল্লেখ করেন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি লেখেন, মানবিকতার অন্যতম বড় প্রবক্তার গর্ভগৃহে এসে অনুপ্রাণিত বোধ করছি।



উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গেও রোড শো করে সবরমতী আশ্রমে যান মোদী। সেখানে দুই নেতা সবরমতী নদীর তীরে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটান।


তারও আগে, ২০১৪ সালে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গেও সবরমতী আশ্রমে আসেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তখনও সস্ত্রীক চিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে নদীর পাড়ে আলাপচারিতা করেন তিনি।