নয়াদিল্লি: খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের ক্যালেন্ডারে মহাত্মা গাঁধীর বদলে চরকা হাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি বিতর্কে এবার মুখ খুললেন ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগ মন্ত্রী কলরাজ মিশ্র। তিনি বিতর্ক সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। কলরাজের দাবি, ‘গাঁধীজি জাতির জনক। কোনও ব্যক্তিই মহাত্মার বিকল্প হতে পারেন না। খাদি ও গাঁধী সমার্থক।’


কলরাজ আরও বলেছেন, তিনি যতদূর জানেন, ক্যালেন্ডারের একটি পাতায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি আছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজখবর না নিয়ে তিনি আর কোনও মন্তব্য করবেন না।



খাদির নববর্ষের ক্যালেন্ডারে গাঁধীজির বদলে প্রধানমন্ত্রীর ছবি থাকায় বিতর্ক শুরু হয়েছে। মুম্বইয়ে খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ১৯২০ সালে বিদেশি পণ্য বয়কট করে দেশীয় পণ্য উৎপাদনের লক্ষ্যে খাদি আন্দোলন শুরু করেছিলেন গাঁধী। সেই তাঁরই ছবি এবার ক্যালেন্ডার থেকে বাদ পড়েছে।

খাদি গ্রামোদ্যোগ কমিশনের চেয়ারম্যান বিনয় কুমার সাক্সেনার দাবি, অতীতেও গাঁধীর বদলে অন্য ছবি ছাপা হয়েছে ক্যালেন্ডারে। এই সংস্থা তৈরি হয়েছে গাঁধীজির আদর্শ, দর্শন ও ভাবনার ভিত্তিতে। তিনিই এই সংস্থার প্রাণপুরুষ। তাই তাঁকে উপেক্ষা করার প্রশ্নই নেই। প্রধানমন্ত্রী মোদী দীর্ঘদিন ধরে খাদির পোশাক পরেন। তিনিই দেশে-বিদেশে খাদিকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী খাদির সবচেয়ে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডার। মেক ইন ইন্ডিয়ার মাধ্যমে গ্রামগুলিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেই ক্যালেন্ডারে তাঁর ছবি দেওয়া হয়েছে।