পটলগঙ্গা (মহারাষ্ট্র): নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে আমজনতার ‘স্বল্পমেয়াদি দুর্ভোগ’ হচ্ছে, মানলেন নরেন্দ্র মোদী। তবে তা সত্ত্বেও তাঁর সরকার জাতীয় রাজনীতির স্বার্থে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিধা করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। আরও বড় ধরনের সংস্কারের ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দাবি, আখেরে ‘দীর্ঘমেয়াদে মানুষকে সুফলই দেবে’ নোট বাতিলের পদক্ষেপ।
মুম্বই সংলগ্ন শিল্পনগরীতে সেবি-পরিচালিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব সিকিউরিটিজ মার্কেটস-এ নতুন প্রশিক্ষণ ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন, বৃদ্ধির হার ঊর্ধ্বমুখী রাখতে সরকার আরও দীর্ঘমেয়াদি নীতি প্রয়োগ করবে যা হবে ‘স্থিতিশীল, জোরদার’। প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, আমাদের সরকার সুবিবেচনাপ্রসূত, বাস্তবসম্মত আর্থিক নীতি অনুসরণ করে যাবে। তাত্ক্ষনিক রাজনৈতিক ফায়দার জন্য সিদ্ধান্ত নেবে না।
জিএসটি কাঠামোর দ্বৈত নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলির মধ্যে দীর্ঘদিনের মতবিরোধ সত্ত্বেও মোদীর আশা, দেশে এ পর্যন্ত নেওয়া সবচেয়ে বড় কর সংস্কারের উদ্যোগ অচিরেই বাস্তবায়িত হবে।
৩০ মাস আগে দেশের শাসন ভার হাতে নেওয়ার পর দেশীয় অর্থনীতির রূপান্তর ঘটিয়েছেন বলে দাবি করে মোদী বলেছেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় অর্থনীতি ছিল বেহাল দশায়। কারেন্ট অ্যাকাউন্ট চড়া, আর্থিক ঘাটতিও চরমে। মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ডাবল ডিজিট ছুঁয়েছে। বিদেশি বিনিময় মুদ্রার হালও তথৈবচ। কিন্তু এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও তিনি ২০১৪-র মে মাসে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই মূল মাপকাঠিগুলিতে সরকার ব্যাপক উন্নতি ঘটিয়েছে এবং দুনিয়ার অন্যত্র ছবিটা হতাশাজনক হলেও ভারত আশার আলো দেখাচ্ছে। গোটা বিশ্ব দীর্ঘদিনের মন্দা সামলাতে লড়ছে, সেখানে ভারতকে উজ্জ্বল ব্যতিক্রম। বৃহত্ অর্থনীতিগুলির মধ্যে ভারতের বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি হতে পারে বলে ভবিষ্যদ্বানী করা হচ্ছে।