লখনউ: বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আনতে চায় বলেই প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক বক্তব্যে হিন্দু-মুসলিম প্রসঙ্গ উঠে আসছে। এমনই দাবি করলেন বহুজন সমাজ পার্টি নেত্রী মায়াবতী। তিনি বলেছেন, ‘মোদী যেভাবে বিভিন্ন জনসভায় হিন্দু-মুসলিম, শ্মশান-কবরস্থান প্রসঙ্গ তুলছেন, তাতে মনে হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসবে।’

গতকাল বারাণসীর জনসভা থেকে তিন তালাক ইস্যুতে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলিকে আক্রমণ করেন মোদী। তিনি বলেন, ‘এইসব দলের আসল চেহারা বেরিয়ে যায় তিন তালাক প্রশ্নে ওদের অবস্থান থেকে। একদিকে কেন্দ্র যখন মহিলাদের জীবনযাত্রা উন্নত ও সহজ করার চেষ্টা করছে, তখন অন্যরা মহিলাদের, বিশেষত মুসলিম মহিলাদের বিপন্ন করে তুলছে। কোটি কোটি মুসলিম মহিলা সবসময় তিন তালাক নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন, যেমনটি হয়েছে ইসলামিক দেশগুলিতেও। খবরের কাগজে পড়লাম কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন, কংগ্রেস মুসলিমদের পার্টি। গত দু’দিন ধরে এনিয়ে অনেক আলোচনা, কথাবার্তাও হচ্ছে। ফলে মনমোহন সিংহ যখন বলেছিলেন, প্রাকৃতিক সম্পদের উপর মুসলিমদের মালিকানা সবার আগে, তখন অবাক হইনি। কিন্তু কংগ্রেসকে প্রশ্ন করতে চাই, ওরা কি শুধুই মুসলিমদের পুরুষদের দল? মুসলিম মেয়েদের মর্যাদা ও অধিকারের কোনও জায়গা আছে কি? বিরোধী দলগুলি সংসদের অধিবেশন বানচাল করে দিয়েছে। ওরা সংসদকে কাজ করতে দিচ্ছে না।’

মোদীর এই আক্রমণের পাল্টা কংগ্রেস নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন, ‘রাহুল গাঁধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের নামে মিথ্যা বলছেন প্রধানমন্ত্রী। রাহুল গাঁধীর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।’

কংগ্রেস মুখপাত্র প্রমোদ তিওয়ারি বলেছেন, ‘যদি কোনও দল সমাজের সব অংশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলে, তাহলে সেটা কংগ্রেস। জওহরলাল নেহরু থেকে রাহুল গাঁধী এই ঐতিহ্য মেনে চলছেন। আমরা সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করি। আমরা ভেদাভেদের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না।’