নয়াদিল্লি: উপনির্বাচনে হারের পর জয় এসেছে রাজ্যসভা ভোটে। নতুন করে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া বিজেপি শুরু করে দিয়েছে ২০১৯-র লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি। তার আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দলীয় সাংসদদের বললেন, আগামী লোকসভা ভোট তাঁরাই জিতবেন তবে নেতাদের মানুষের হৃদয়ও জিততে হবে।

সরকারি কাজকর্ম মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া আরও বেশি করে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। বলা হয়েছে, প্রত্যেক সাংসদের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্টে অন্তত ৩ লাখ ফলোয়ার থাকতে হবে। নিজেদের কেন্দ্রে নিয়মিত গিয়ে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হবে তাঁদের।

উপনির্বাচনের ফলে বিজেপি যতটা নিরুদ্যম হয়েছিল, ততটাই আত্মবিশ্বাস পেয়েছে গতকাল রাজ্যসভা ভোটের ফলে। মোট ৫৮টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জিতেছে তারা, কংগ্রেস ৯টিতে, তৃণমূল ৪টিতে, টিআরএস, বিজেডি ৩টি করে, জেডিইউ, টিডিপি, আরজেডি ২টি করে, এসপি, শিবসেনা, এনসিপি ও ওয়াইএসআর কংগ্রেস জিতেছে ১ টি করে আসন।

উত্তর প্রদেশে এবার আর বুয়া-বাবুয়া ওরফে মায়াবতী-অখিলেশ জোট সুবিধে করতে পারেনি। মোট ১০টির মধ্যে ৮টি নিশ্চিত আসন জেতার পাশাপাশি বিরোধীদের সম্মিলিত সমর্থন থাকা বিএসপিকে হারিয়ে নবম আসনটিও জিতে নিয়েছে তারা। ক্রস ভোটিং করে বিজেপিকে ভোট দেন বিএসপি ও এসপির ২ বিধায়ক। জিতেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি, গাজিয়াবাদের ব্যবসায়ী অনিল আগরওয়াল, এসপির জয়া বচ্চন।



বিএসপির হারের জন্য এসপিকে দুষেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। বলেছেন, এসপি নিজেদের প্রার্থীকে জিতিয়ে আনলেও সুবিধেবাদের কারণে বিএসপি প্রার্থীর জয়ের ব্যাপারে আন্তরিকতা দেখায়নি।

কংগ্রেস শাসনাধীন কর্নাটকে ৩টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস, ১টিতে জিতেছেন বিজেপির রাজীব চন্দ্রশেখর। ২টি আসন জয় কংগ্রেসের নিশ্চিত ছিল, জেডিএসকে হারিয়ে তৃতীয়টি ছিনিয়ে নেয় তারা।

তেলঙ্গানায় জিতেছেন ৩ টিআরএস প্রার্থী। বিজেপির ৫ বিধায়ক ভোটাভুটিতে অনুপস্থিত থাকেন।

ছত্তিশগড়ের একমাত্র আসন জিতেছেন বিজেপির জাতীয় সাধরণ সচিব সরোজ পান্ডে।

কেরলের আসনটি জিতেছেন জেডিইউ-এর শরদ যাদব শিবিরের বাম সমর্থিত প্রার্থী বীরেন্দ্র কুমার।