নয়াদিল্লি: কর্নাটকে কংগ্রেসকে হটিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতায় ফেরাতে ৮০০ বছরের প্রাচীন শ্রীকৃষ্ণ মন্দিরে প্রার্থনা নরেন্দ্র মোদীর সমর্থকদের। ঈশ্বর মোদী, বিজেপির সহায় হোন, এই আর্তি জানিয়ে মন্দিরে পাত্রে বসানো তুলসি গাছ নিবেদন করছেন তাঁরা।
৪৫ বছরের ভক্ত কেশবাচার্য তাঁদেরই একজন। ১২ মে-র বিধানসভা ভোটে মোদী, বিজেপিকে ঈশ্বর আশীর্বাদ করুন, এই প্রার্থনা জানাতে ২২ কিমি দূরের শ্রীরুরু গ্রাম থেকে পদব্রজে উদুপির মন্দিরে এসেছেন তিনি। হাতে পাত্রে একটি তুলসি গাছ, সেটি তিনি নিজে পরিচর্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
ওই মন্দিরে প্রতিদিনই মনস্কামনা পূরণে ভক্তরা অন্তত এক লক্ষ তুলসি গাছ উপহার দেন। কেশবাচার্যের মতোই মোদী, বিজেপির জয় চেয়ে পাত্রে তুলসি গাছ নিয়ে এসেছেন গোবিন্দ, কুমারস্বামী নামে আরও দুজন। মোদীর জনসভায় যোগদানের আগে মন্দিরে প্রার্থনা করেন তাঁরা।
ভগবান কৃষ্ণকে ১ লক্ষ তুলসি গাছ নিবেদনের উদ্যোগ শুরু করেছিলেন পালিমার মঠের বিদ্যাধীশ তীর্থ স্বামী। তিনি দ্বিতীয়বার মন্দির পরিচালনার ভার পেয়েছেন। ২০২০ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া পর্যন্ত তিনি একটি প্রকল্প হাতে নেন, যাতে এক লক্ষ সোনার তুলসি পাতা দান করা হবে, যার মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা।
শ্রীকৃষ্ণ মঠের দেওয়ান বেদবাস তান্ত্রী জানান, মঠের গর্ভগৃহের ছাদ সোনায় মুড়ে দেওয়াই পরিকল্পনা। যে ভক্তদের এক গ্রাম ওজনের সোনার তুলসি পাতা কিনে দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাঁদের তুলসি অর্চনের জন্য তুলসি গাছে দান করে ভগবান সেবার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন চলছে তুলসি অর্চন।
কেশবাচার্যের মতো আরও ভক্তের কথা তাঁর জানা আছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, হতে পারে। কে কোনও বাসনা নিয়ে মন্দিরে তুলসি গাছ উপহার দিচ্ছেন, তা জানার উপায় নেই। আমরা কখনও জানতেও চাই না।
এদিকে তুলসি গাছের চাহিদা বাড়তে থাকায় উদুপিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ এসেছে। গত ৩ মাসে সেখানে বহু নার্সারি তৈরি হয়েছে। মন্দিরের পক্ষ থেকেও প্রায় ১৪ একর জমিতে তুলসির চাষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তান্ত্রী।
পুজোর পর সেই তুলসি ব্যবহার করা হচ্ছে আয়ুর্বেদিক ওষুধ বানানোয়।