নয়াদিল্লি: তাঁর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে তিহার জেল প্রশাসন। এই অভিযোগ নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন প্রাক্তন আরজেডি সাংসদ ও বাহুবলী মহম্মদ সাহাবুদ্দিন। তাঁর দাবি, গত এক বছর ধরে তাঁকে একটি ছোট্ট ঘরে সম্পূর্ণ একা থাকতে বাধ্য করেছে তিহার কর্তৃপক্ষ। এতে তাঁর ১৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে।


সিওয়ানের এক সাংবাদিককে হত্যার অভিযোগে সাহাবুদ্দিনের বিচার চলছে। ওই সাংবাদিকের স্ত্রী, সন্তানরা আদালতে আবেদন করেন, সাহাবুদ্দিনকে সিওয়ানের জেল থেকে তিহারে পাঠানো হোক, না হলে তাঁদের প্রাণ বিপন্ন, ঠিকভাবে হতে পারবে না বিচারও। সেই দাবি মেনে তাঁকে তিহার পাঠায় আদালত। সেখান থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিচার প্রক্রিয়ায় যোগ দেন তিনি।

সাহাবুদ্দিনের আইনজীবীর বক্তব্য, তিহারে নিয়ে আসার পর থেকেই তাঁকে একচিলতে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়েছে, যেখানে সূর্যের আলো ঢোকে না। সব সময় জ্বলতে থাকে ছাদ থেকে ঝোলা একটি অস্বাভাবিক উজ্জ্বল ল্যাম্প, এর ফলে সাহাবুদ্দিনের চোখ খারাপ হয়ে গিয়েছে। অন্য কয়েদিরা ক্যান্টিনে গিয়ে খেতে পারেন, অন্যান্য সুবিধেও পান। ব্যতিক্রম শুধু সাহাবুদ্দিন। চিকিৎসকের পরামর্শ অমান্য করে দুধ, ডিমের মত কোনও স্বাস্থ্যকর খাবারও দেওয়া হচ্ছে না তাঁকে।

তাঁর আইনজীবী আরও অভিযোগ করেছেন, এক বছর ধরে ওই নির্জন সেলে তাঁর মক্কেল থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধু আইনজীবীদের সঙ্গে কথাবার্তার সময় ছাড়া একবারও তাঁকে বাইরে আসতে দেওয়া হয় না। এর ফলে তাঁর ১৫ কেজি ওজন কমে গিয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে অসুস্থ করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে তাঁকে।