সরকারি অফিসাররা জানিয়েছেন, মঈন বিমানবন্দরে পৌঁছতেই পিছু নেন অভিবাসন কর্তারা। তাঁরা ইডি-কে সতর্ক করেন। মঈনকে নিজেদের হেফাজতে নিতে বিমানবন্দরে হাজির হন ইডি-র লোকজন। তবে বিমানবন্দর সূত্রের খবর, কুরেশি জানান, তিনি বন্ড দাখিল করে আদালত থেকে বিদেশ যাত্রার ছাড়পত্র পেয়েছেন। এমনকী তাঁর আইনি টিমের পাঠানো এই সংক্রান্ত ফ্যাক্স বার্তাও চলে আসে বিমানবন্দরে। তার ভিত্তিতেই তাঁকে দুবাই যাওয়ার জন্য ছেড়ে দেয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষ।
তবে ইডি সূত্রে বলা হয়েছে, কুরেশিকে যে নথির ভিত্তিতে বিদেশযাত্রার অনুমতি দেওয়া হল, আমরা সেগুলি অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে চেয়েছি। আমাদের অফিসাররা ওঁকে হেফাজতে নিতে বিমানবন্দরে ছিলেন। কিন্তু মঈনকে ছেড়ে দেওয়া হল।
বেআইনি আর্থিক লেনদেন রোধ আইনে (পিএমএলএ) গত বছর মঈনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ইডি। কর ফাঁকি দেওয়া, হাওলার ধাঁচে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে তদন্ত সংস্থাগুলির নজরদারির আওতায় রয়েছেন তিনি। গত বছর স্থানীয় আদালতে মঈনের বিরুদ্ধে আয়কর দপ্তরের পেশ করা চার্জশিট বিবেচনায় রেখে তাঁর বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ দায়ের করেছিল ইডি। তাদের অভিযোগ, হাওলা রুটের মাধ্যমে মঈন দুবাই, লন্ডন ও ইউরোপের আরও কিছু জায়গায় প্রচুর অর্থ পাঠিয়েছেন। গত বছর মঈনের সংস্থায় তল্লাসি চালিয়ে তাঁকেও জেরাও করেছিল ইডি।
আয়কর দপ্তরের তদন্তে বেরিয়েছিল, নিজের কর্মচারী ও সঙ্গীদের নামে ১১টি ব্যাঙ্ক লকার অ্যাকাউন্ট আছে মঈনের। সেগুলি চালাতেন তাঁর সংস্থা একিউএম গ্রুপের কর্মীরা। সেখানে নগদ ১১ কোটি ২৬ লক্ষ টাকা ও ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা বেশি দামের অলঙ্কারের খোঁজ পায় আয়কর। যাবতীয় সম্পত্তিরই মালিক মঈন।