রোগীদের কাছ থেকে নতুন করে নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানা গেছে।
মিরাট মেডিক্যাল কলেজ চত্বরে এই ঘটনা ঘটে। করোনা আক্রান্ত তিন রোগীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। কিন্তু পরীক্ষার আগেই ওই নমুনাগুলি ল্যাব টেকনিশিয়ানের হাাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় শাখামৃগকূল।
পরে ল্যাব টেকনিশিয়ানের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া নমুনা সংগ্রহের কিট গাছের বসে দাঁতে করে কাটতে দেখা যায় একটি বাঁদরকে। এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই এলাকায় বাঁদরের উপদ্রবের কথা কারুর অজানা নয়। কিন্তু স্থানীয়দের মধ্যে বাঁদরবাহিনীর নিকটবর্তী লোকালয়ে ওই নমুনা নিয়ে যাওয়ায় আশঙ্কা দেখা দেয়। পরে অবশ্য মিরাটের লালা লাজপত রাই মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল এসকে গর্গ বলেছেন, ঘটনাটি তাঁদের নজরে এসেছে। আমরা সংশ্লিষ্ট ল্যাব টেকনিশিয়ানের কাছে খোঁজখববর করেছি। যে নমুনা কিটগুলি বাঁদরেরা ছিনিয়ে নিয়ে গিয়েছে, সেগুলিতে করোনা রোগীদের কাছ থেকে সংগৃহীত তাঁদের গলা ও জিভের লালারসের নমুনা ছিল না। নিয়মমাফিক চিকিত্সার জন্য করোনা আক্রান্তদের কাছ থেকে নেওয়া রক্তের নমুনা ছিল সেগুলিতে। কোভিড-১৯ নমুনা একটি বক্সে রাখা হয়, রক্তের নমুনা নয়।
কর্তব্যে গাফিলতি ও কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ঘটনার ভিডিও তোলার জন্য ওই ল্যাব টেকনিশিয়ানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।