শ্রীনগর: কিছুতেই পেলেট গানের ব্যবহার বন্ধ করা ঠিক হবে না, জানিয়ে দিল সিআরপিএফ।


গত ৮ জুলাই হিজবুল মুজাহিদিন কমান্ডার বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর অশান্ত হয়ে ওঠা কাশ্মীরে বিক্ষোভ সামলাতে পেলেট গানের ব্যবহার নিষিদ্ধ করার দাবিতে জম্মু ও কাশ্মীর হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ পিটিশন পেশ হয়েছে, সে ব্যাপারে দায়ের করা হলফনামায় সিআরপিএফের দাবি, মারমুখী জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেলেট গান বা ছররা বন্দুকের ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হলে চরম পরিস্থিতিতে তাদের সামনে আর অন্য কোনও রাস্তা থাকবে না, তারা গুলি চালাতে বাধ্য হবে, যা মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনবে, আরও বেশি লোক মারা যাবে।

প্রসঙ্গত, পেলেট গান ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে জনস্বার্থ পিটিশনটি পেশ করেছে কাশ্মীর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন।

কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, ২০১০ সালে চালু হয়েছে পেলেট গানের ব্যবহার। তখন থেকেই দাঙ্গা-হাঙ্গামা মোকাবিলায় এর ব্যবহার স্বীকৃতি পেয়েছে। সবাই এর প্রয়োগ মেনে নিয়েছে। তারা এও বলেছে, চরম পরিস্থিতিতে অশান্ত, বিক্ষুব্ধ জনতাকে নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে চলতি রীতি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (এসওপি) অনুযায়ী, অস্ত্র তাক করতে হবে কোমরের নীচে। কিন্তু চলতি আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত ঘটনায় রাস্তার বুকে পরিস্থিতি দ্রুত বদলাতে দেখা যাচ্ছে। এমন অবস্থায় কখনও কখনও চলমান, বিক্ষোভরত জনতাকে সামলাতে প্রতিষ্ঠিত বিধিনিয়ম রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।

৯ জুলাই থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত বুরহান ওয়ানির মৃত্যু পরবর্তী অশান্তি মোকাবিলায় তারা ৩৫০০ পেলেট কার্তুজ ব্যবহার করেছে বলে জানিয়েছে সিআরপিএফ।

প্রসঙ্গত, সিআরপিএফ ও বিএসএফ পিটিশনের ব্যাপারে তাদের জবাব পেশ করলেও রাজ্য সরকার এখনও বক্তব্য জানায়নি। আগামীকাল ফের শুনানি।