নয়াদিল্লি: এখনও একইরকম সঙ্কটজনক রয়েছেন অরুণ জেটলি। দিল্লির এইমসে তাঁকে লাইফ-সাপোর্ট সিস্টেমের সাহায্যে রাখা হয়েছে। রবিবার তাঁকে দেখতে যান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ও রামবিলাস পাসোয়ান।
গত ৯ অগাস্ট বুকে ব্যথা ও শ্বাসজনিত অস্বস্তি নিয়ে দিল্লির এইমসে ভর্তি হন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। অথচ, ১০ অগাস্টের পর হাসপাতালের তরফে জেটলির শারীরিক অবস্থা নিয়ে আর কোনও মেডিক্যাল বুলেটিন প্রকাশ করা হয়নি।
গত কয়েকদিনে তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান কেন্দ্রীয় রাজনীতির একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী। শনিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার, রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি ও জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া এইমসে গিয়ে হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসেন।
শুক্রবার, তাঁকে দেখতে যান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আসেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবেও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন জানান, চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা চালাচ্ছেন।
প্রথম মোদি সরকারের জমানায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার অতি-গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন পেশায় আইনজীবী জেটলি। প্রায়ই তাঁকে সরকারের হয়ে ‘মুসকিল আসান’-এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে দেখা গিয়েছে। শারীরিক অসুস্থতার কারণে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি জেটলি।
গত বছর মে মাসে কিডনি প্রতিস্থাপন করা হয় জেটলির। সেই সময় তাঁর জায়গায় অর্থমন্ত্রকের দায়িত্ব সামলেছিলেন পীযূষ গয়াল। এর আগে, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকেই দফতরে যাওয়া বন্ধ করেছিলেন তিনি। পরে, সফল অস্ত্রোপচারের পর সেই বছরের অগাস্ট মাসে ফের মন্ত্রকের দায়িত্ব নেন।
তার আগে, ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ডায়াবেটিসের জন্য ওজন বেড়ে যাওয়ার পর তা কমাতে বেরিয়াট্রিক সার্জারিও করিয়েছিলেন তিনি।