বিজনোর (উত্তরপ্রদেশ): ফের নরেন্দ্র মোদীর নিশানায় রাহুল গাঁধী। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী জনসভায় আবারও নাম না করে কংগ্রেস সহ-সভাপতিকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, গুগলে সবচেয়ে বেশি তামাসার পাত্র একজন কংগ্রেস নেতাই। তাঁকে নিয়েই সবচেয়ে বেশি হাসি-ঠাট্টা হয়।
মোদী বলেন, এক কংগ্রেস নেতা এখনও ছেলেমানুষের মত আচরণ করে চলেছেন। তিনি যোগ করে বলেন, আপনি যদি গুগলে যান, দেখবেন তাঁকে নিয়ে অনেক কৌতুক রয়েছে। এই কংগ্রেস নেতাকে নিয়ে যত কৌতুক রয়েছে, এত আর কোনও নেতাকে নিয়ে নেই। মোদীর এহেন মন্তব্যে হাসির রোল ওঠে জনতায়।
এখানেই থেমে থাকেননি মোদী। রাহুলের সঙ্গে জোট বাঁধার জন্য নাম না করে অখিলেশ যাদবকেও কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ওঁর (রাহুলের) কাণ্ডকারখানার জন্য প্রবীণ কংগ্রেস নেতারাও তাঁর থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। আর তাঁকেই কি না আপনি জড়িয়ে ধরলেন! আমার এখন সত্যিই আপনার বুদ্ধি নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
মোদীর দাবি, উত্তরপ্রদেশে এবার ‘পদ্ম ফুটবে’ জেনে, কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টি হাতে হাত মিলিয়েছে। অথচ, কয়েক মাস আগে, এরাই একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়েছিল। মোদী যোগ করেন, এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, দুই দলই কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এদিন বিজনোরের জনসভায় উত্তরপ্রদেশের শাসক দল সমাজবাদী পার্টির তীব্র সমালোচনা করেন মোদী। বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিস বিশেষ করে মহিলা নিরাপত্তা একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। ক্ষমতার জোরে বিরোধী আওয়াজকে দমানোর চেষ্টা করছে অখিলেশ সরকার বলেও আক্রমণ করেন মোদী।
পাশাপাশি, কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টির জোটকে তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এই জোট হল সেই দুই পরিবারের মধ্যে, যারা উত্তরপ্রদেশে লুঠতরাজ চালিয়েছে।
মোদীর দাবি, ক্ষমতায় এলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। যে সরকার মানুষের প্রতি সংবেনশীল নয়, তাদের ছুঁড়ে ফেলতে জনতার উদ্দেশ্যে তিনি আহ্বান করেন।
বলেন, এমন সরকারের কী প্রয়োজন যারা যুব সম্প্রদায়ের ভবিষ্যৎ বা কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে না। শোষিত ও নিপীড়িতদের কল্যাণে যে সরকার গুরুত্ব দেয় না, তাদের থাকার কোনও অধিকার নেই বলেও জানান মোদী।