রোহতকের সুনায়রা জেলে রাম রহিমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর মা নসিব কৌর। মাকে তিনি প্রথম প্রশ্ন করেন, ডেরার সব কিছু কীভাবে চলছে, অনুগামীরা ঠিকমত কাজ করছেন কিনা।
জানা গিয়েছে, মা ছেলেকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, ডেরায় সব কিছু আগের মতই চলছে।
যদিও বাস্তবে রাম রহিমের একদা দুর্ভেদ্য দুর্গ ডেরা এখন প্রায় ধ্বংসস্তুপ। পুলিশ নিয়ে এর রন্ধ্রে রন্ধ্রে তল্লাশি চালিয়েছেন সরকারি কর্মীরা, উদ্ধার হওয়া বহু জিনিসপত্র প্রশ্ন তুলেছে ডেরার অন্ধকার কাজকর্ম নিয়ে। অনুগামীদের মধ্যেও ভাঙন স্পষ্ট, এখনও ঠিক হয়নি, রাম রহিম জেলে যাওয়ায় তাঁর সিংহাসনে কে বসবেন।
আগে অবশ্য শোনা যাচ্ছিল, রাম রহিমের সিংহাসনে বসবেন তাঁর ঘনিষ্ঠ অনুগামী হানিপ্রীত ইনসান। তখন নসিব কৌর বলেন, হানিপ্রীত নয়, রাম রহিমের ছেলে জশমিত সিংহ ইনসানকে বরং ডেরার প্রধান করা হোক। এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার জন্য ডেরা ম্যানেজমেন্ট কমিটিকে অনুরোধও করেন তিনি। তবে ডেরা চেয়ারপার্সন বিপাসনা জানিয়েছেন, গুরমিত রাম রহিমই তাঁদের প্রধান থাকবেন, সংগঠন আগের মত চলবে।
২৫ তারিখ থেকে জেলে রাম রহিম। মা নসিবই তাঁর পরিবারের একমাত্র সদস্য যিনি জেলে এসে দেখা করেছেন তাঁর সঙ্গে। ধর্ষণের অপরাধে তাঁর ২০ বছর জেলের সাজা হওয়ার পর মা নসিব কৌর, স্ত্রী হরজিত কৌর ও ছেলেমেয়েরা চলে গিয়েছেন রাজস্থানে। হানিপ্রীতকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য অসংখ্যবার অনুরোধ করেন রাম রহিম, তা গৃহীত হয়নি। আর তিনি জেলে যাওয়ার দিন থেকে হানিপ্রীতেরও কোনও খোঁজ নেই।