মোরেনা: এলাকায় মোট বাড়ি তিন হাজার। ২৬ হাজার মানুষের বাস সেখানে। বৃহস্পতিবার তাঁদের মধ্যেই এক দম্পতির শরীরে পাওয়া গিয়েছিল করোনার জীবাণু। আর শুক্রবার তাঁদের সংস্পর্শে আসা ১০জনের শরীরে পাওয়া গেল ভাইরাস। যার জেরে পুরো এলাকাটিই সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। ২৬ হাজার মানুষকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে!


ঘটনাটি মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার। দুবাইতে চাকরি করতে গিয়েছিলেন সুরেশ নামে এক ব্যক্তি। ১৭ মার্চ তিনি বাড়ি ফেরেন। ২০ মার্চ তাঁর মায়ের শ্রাদ্ধে নিমন্ত্রিত হয়ে আসেন দেড়হাজার মানুষ। ২৫ মার্চ সুরেশের দেহে করোনাভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায়। তার চারদিন বাদে তিনি হাসপাতালে যান। করোনা টেস্টে মেলে পজিটিভ। গত বৃহস্পতিবার তাঁর স্ত্রী ও ছেলের দেহেও করোনা পজিটিভ মিলেছে। তাদের রাখা হয়েছে কোয়ারেন্টাইনে।

সুরেশের মায়ের শ্রাদ্ধে যেখানে লোক খাওয়ানো হয়েছিল, সেই এলাকাটি কোভিড হটস্পট বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে সেই এলাকা। এলাকার ২৬ হাজার মানুষকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সুরেশের ২৩ জন আত্মীয়ের করোনাভাইরাস টেস্ট করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের শরীরে পজিটিভ মিলেছে। মোরেনার চিফ মেডিক্যাল অফিসার আর সি বান্দিল জানান, ভারতে আসার আগে দুবাইয়েই সুরেশের করোনা টেস্ট হয়েছিল। তখন তার শরীরে ওই রোগের লক্ষণ ধরা পড়েনি। পরে সে করোনা আক্রান্ত হয়।

আরও ২২জনের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পুরো এলাকাকে ১৪দিনের জন্য সিল করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত ১৫৪ জন কোভিড ১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।