ভোপাল : মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার ২৮ আসনের উপনির্বাচনে এক তরফা লড়াইয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করেছে। সেইসঙ্গে প্রমাণ করে দিয়েছে, রাজ্যে এই মুহূর্তে সবচেয়ে শক্তিশালী দল বিজেপি-ই। রাজ্যের ১৯ টি জেলাজুড়ে ২৮ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে নানা ধরনের জল্পনা-কল্পনা চলছিল। ভোট বিশেষজ্ঞরা এই উপনির্বাচনে কংগ্রেস ও বিজেপির কড়া টক্কর হবে বলে অনুমান করেছিলেন। কিন্তু সেই অনুমানের বাস্তবে কোনও প্রতিফলনই ঘটল না। বিজেপি ১৯ আসনে জিতে প্রমাণ করে দিয়েছে, মধ্যপ্রদেশের তাদের হারানো খুবই কঠিন কাজ।

এই উপনির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের কারণে রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা নিরঙ্কুশ হল। ভোটাররা মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের ওপরই আরও একবার আস্থা রেখেছেন। ভোটের প্রচারে শিবরাজ বলতেন, আমি তো এখন টেম্পোরারি মুখ্যমন্ত্রী, আমার জায়গা পাকা করে দিন। ভোটাররা তাঁর আর্জিতে সাড়া দিয়েছেন।

বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ৮ আসন দূরে ছিল বিজেপি। কিন্তু ভোটে এর দ্বিগুণেরও বেশি আসনে জয়ী হয়েছে তারা। শিবরাজের পক্ষে এই উপনির্বাচনে জয়ের কাজটা আদৌ সহজ ছিল না। শিবরাজের বক্তব্য, তাঁদের শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছিল। সমস্ত পরিস্থিতিই বিজেপির বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু দলের নেতাকর্মীদের পরিশ্রম ও শক্তিশালী সংগঠন এই ব্যাপক সাফল্য এনে দিয়েছে।

বিজেপি এই উপনির্বাচনে যে ধাক্কা খেয়েছে তা গোয়ালিয়র-চম্বল অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। সেখানে রাজ্যের তিন মন্ত্রী হেরে গিয়েছেন। এই এলাকায় ১৬ আসনে উপনির্বাচন হয়। কিন্তু কংগ্রেস প্রত্যাশিত সংখ্যায় আসন পায়নি। আর এখানে বিএসপি কংগ্রেসের সমীকরণ বিগড়ে দিয়েছে।
কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার যে অনুগামীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের বিশ্বাসঘাতকরার অভিযোগ পাত্তা পায়নি ভোটার মহলে। জিতেছেন কংগ্রেস ছেড়ে আসা সিন্ধিয়া অনুগামীরা।

এই অবস্থায় মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের নেতৃত্ব ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে। এখন দেখার তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদ ছাড়বেন, নাকি আগামী বিধানসভা ভোটেও কংগ্রেসের নেতৃত্ব দেবেন।