রতলাম ও নীমাচ: কৃষক আন্দোলনে উত্তপ্ত মধ্যপ্রদেশের মন্দসৌরে পুলিশের গুলিতে নিহতদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার পথে এবার বাধা পেলেন কংগ্রেস নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। নয়াগাঁ-জাওরা টোল বুথের কাছে কংগ্রেস নেতা সিন্ধিয়াও কান্তিলাল ভুরিয়া সহ দলের কর্মী সমর্থকদের আটক করে পুলিশ।

এদিকে, মন্দসৌর যাওয়ার পথে গ্রেফতার হলেন গুজরাতের সংরক্ষণ আন্দোলনের নেতা হার্দিক পটেলও।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে ঋণ মকুব ও ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে মন্দসৌরে কৃষক আন্দোলন চরম পর্যায়ে ওঠে। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ৬ কৃষকের। ঘটনার পর কংগ্রেস সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে মন্দসৌরে যেতে বাধা দিয়েছিল মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। মধ্যপ্রদেশ সীমানা থেকেই ফিরে যেতে হয়েছিল তাঁকে। এবার বাধা পেলেন সিন্ধিয়া। জাওরা শহরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫১ ধারায় সিন্ধিয়া, ভুরিয়া ও বিধায়ক মহেন্দ্র সিংহ কালুখেড়া সহ অন্যান্যদের আটক করা হয়।

রতলামের পুলিশ সুপার অমিত সিংহ বলেছেন, কংগ্রেস নেতাদের আগেই জানানো হয়েছিল যে মন্দসৌরে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই তাঁদের সেখানে যেতে দেওয়া হবে না।

সিন্ধিয়া অবশ্য পুলিশের এই যুক্তি মানতে নারাজ। তিনি বলেছেন, ১৪৪ ধারা জারি থাকলে তিনি একা যাবেন। কিন্তু এতেও পুলিশ বাধা দিচ্ছে কেন, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেন, রাজ্যে হিটলারশাহী চলছে।

পুলিশ আটক করার আগে কংগ্রেস নেতা ও সমর্থরা টোল বুথের সামনে ধর্ণায় বসেন। তাঁরা তাঁদের মন্দসৌরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দাবি জানান। কংগ্রেসের বিক্ষোভে মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানের কুশপুতুলও পোড়ান হয়।

এদিকে, মন্দসৌরে যাওয়ার পথে গ্রেফতার  করা হল পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিককেও। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেডি-ইউ নেতা অখিলেশ কাটিয়ার। নিমাচের নয়াগাঁও-এ তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিন পান তাঁরা। সেখান থেকে তাঁদের পুলিশের গাড়িতে করে মধ্যপ্রদেশের বাইরে ছেড়ে আসা হয় বলে নয়াগাঁও-এর পুলিশ সুপার।

মন্দসৌরে যেতে বাধা পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন হার্দিক। তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ৫০ কোটি কৃষক আন্দোলনে নেমেছেন।