নয়াদিল্লি: রবিবার মধ্যপ্রদেশের সাতনায় ধর্ষণের শিকার হয় এক চার বছরের শিশুকন্যা। সাতনারই এক হাসপাতালে নির্যাতিতার চিকিৎসা চলছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে এয়ারলিফ্ট করে দিল্লির এইমস-এ নিয়ে আসা হল।


সূত্রের খবর, চার বছরের শিশুটিকে ধর্ষণ করে একটি ফাঁকা জায়গায় ফেলে রেখে পালায় অভিযুক্ত। বাড়ির বাইরে উঠোনে যখন ঘুমোচ্ছিল সে, তখন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে এই পাশবিক অত্যাচার চালায় অভিযুক্ত ব্যক্তি।

বাড়ির উঠোন থেকে মেয়ে উধাও হয়ে যাওয়ায়, পরিবারের লোকেরা খোঁজ শুরু করে। পরে শিশুটিকে সাতনার পরশমানিয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেন পরিজনেরা। ফাঁকা জায়গায় সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়েছিল  সে। সেখান থেকেই তুলে তাকে আনা হয় হাসপাতালে।




পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পেরেছে, অভিযুক্তের সঙ্গে পূর্বপরিচিতি ছিল শিশুটির পরিবারের। শিশুটির বাবা কাজের জন্যে বাইরে ছিল।সেই সুযোগে মেয়েটিকে কাছের পান্না গ্রামে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। এরপর মেয়েটিকে ঘটনাস্থলে ফেলে রেখে, অভিযুক্ত নিজের বাড়ি ফিরে যায়।

কাজ থেকে ফিরে এসে মেয়েকে না পেয়ে, অভিযুক্তের বাড়িতে গিয়ে চেঁচামেচি করে শিশুর বাবা। তখন, ওই ব্যক্তিই ঘটনাস্থলে নিয়ে যায় মেয়েটির বাবা ও অন্যান্য গ্রামবাসীদের। মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে বাবা। পরে গ্রামবাসীরাই অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারা ও পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার কড়া নিন্দা করে অভিযুক্তের কঠিন শাস্তির দাবি তুলেছে মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কমলনাথ।