নয়াদিল্লি: স্বাস্থ্যকর্মীদের ইট-পাথর ছুঁড়ে তাড়া করার ঘটনায় বেনজির কঠোর পদক্ষেপ মধ্যপ্রদেশ সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান বলেই দিয়েছেন, যে ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের জীবন বাঁচাতে নেমেছেন, তাঁদের ওপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। ইন্দোর জেলা প্রশাসন স্বাস্থ্যকর্মীদের পাথর মেরে এলাকা থেকে বের করে দিতে স্থানীয় লোকজনকে উসকানি দেওয়ায় অভিযুক্ত চারজনের বিরুদ্ধে ১৯৮০ সালের জাতীয় নিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করেছে। ইন্দোরের তাতপাত্তি বাখাল এলাকায় যাওয়া স্বাস্থ্য়কর্মীদের ওপর হামলায় প্ররোচনায় অভিযুক্তরা হল ২৮ বছরের মহম্মদ মুস্তাফা, ৩২ বছরের মহম্মদ গুরেজ, ৩৬ বছরের শোয়েইব ও ৫০ বছর বয়সি মজিদ। স্বাস্থ্যকর্মীরা এক করোনাভাইরাস পজিটিভ ব্যক্তির সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন, জানতে বুধবার ওই এলাকায় ঢুকেছিলেন।






ইন্দোর জোনের পুলিশ ইনসপেক্টর জেনারেল বিবেক শর্মা বলেছেন, অভিযুক্তদের ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনএসএ চালু হয়েছে তাদের চারজনের বিরুদ্ধে। ওই আইনের ৩ (২) ধারা প্রয়োগ করে তাদের রেওয়ার সেন্ট্রাল জেলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।


পড়ুন: 'চিকিৎসকদের পাথর ছুড়বেন না, ওঁরাই এই পরিস্থিতিতে রক্ষাকর্তা' আর্তি ঋষি, প্রীতি, জাভেদ, অমিতাভের


জেলা প্রশাসনের নোটে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যকর্মী, রাজস্ব অফিসার, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, পুরকর্মী, পুলিশকর্মীদের যৌথ দল শহরের তাতপাত্তি বাখাল এলাকায় এক কোভিড ১৯ রোগীর সংস্পর্শে আসা লোকজন সম্পর্কে তথ্য জানতে গেলে পাথর ছোঁড়া হয় তাদের দিকে। প্রশাসনিক কাজে বাধা দেওয়ার জন্য এলাকা বাসিন্দাদের প্ররোচনা দিয়ে কিছু দুষ্কৃতী শুধু নিজেদেরই নয়,ন পুরো এলাকার সব লোকের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে। বুধবারই ভারতীয় দণ্ডবিধির নানা ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনের বিরুদ্ধে।


পড়ুন: ইঁদুরের ওপর পরীক্ষায় সাফল্য, করোনার ভ্যাকসিন তৈরির দাবি আমেরিকার পিটসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের


পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার কিছু ভিডিও খতিয়ে দেখে, স্থানীয় সূত্রে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। ইন্দোরের বেশিরভাগ করোনাভাইরাস আক্রান্তেরই বিদেশ থেকে আসা কারও সংস্পর্শে আসার বা বিদেশ সফরের ইতিহাস নেই। ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরা এখনও এলাকায় কোভিড ১৯ ছড়িয়ে পড়ার আসল কারণ চিহ্নিত করতে পারেননি।