জনৈক প্রশাসনিক অফিসার বলেন, সুন্দরদেব গ্রামের বাসিন্দা তারাবাঈ নামে ওই মহিলা কাস্তে দিয়ে মেয়ের অতিরিক্ত আঙুলগুলি কেটে বাদ দেন, সেই ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দেন গোবরের প্রলেপ। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই বাচ্চাটি মারা যায়। তাকে গ্রামেই মাটিতে কবর দেওয়া হয়। ঘটনা নিয়ে স্থানীয় মিডিয়ায় শোরগোল হওয়ার পর তদন্তের জন্য প্রশাসনের নির্দেশে মাটি খুঁড়ে বাচ্চাটির দেহ তুলে আনা হয়। প্রশাসনিক কর্তাটি বলেন, হাতে, পায়ে বাড়তি আঙুল থাকলে বড় হয়ে মেয়ের বিয়ে হবে না, এই ভয়, বিশ্বাস থেকেই তার মা সেগুলি কেটে ফেলে দিয়ে থাকতে পারেন।
পুলিশ সুপার রুচি বর্ধন মিশ্র বলেছেন, ময়না তদন্ত হয়েছে, মেডিকেল রিপোর্টের অপেক্ষা করছেন তাঁরা, সেটি এলেই তার ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে। গ্রামে শিশুজন্ম সংক্রান্ত যাবতীয় আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকলাপ দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি। শিশুঘাতিনী মাকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি।