নয়াদিল্লি: দূরপাল্লার ট্রেনের এখন অন্যতম সমস্যা হয়ে উঠেছে জিনিসপত্র চুরি। রেহাই পাচ্ছেন না সাংসদরাও। রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল অসহায়তার কথা কার্যত স্বীকার করে নিয়ে জানিয়েছেন, চোরেরা টিকিট কেটে ট্রেনে উঠছে, ফলে সহজে তাদের ধরা যাচ্ছে না।

বিষয়টি গতকাল রাজ্যসভায় তোলেন সিপিএম সাংসদ ঝর্ণা দাস বৈদ্য ও বিজেডির সরোজিনী হেমব্রম। বলেন, দূরপাল্লার ট্রেনে আলাদাভাবে সফর করার সময় মালপত্র খুইয়েছেন তাঁরা।

দিল্লি থেকে কলকাতায় ফেরার সময় ট্রেনের প্রথম শ্রেণির কামরা থেকে ঝর্ণা দাস বৈদ্যের জিনিসপত্র চুরি যায়। সরোজিনী হেমব্রম শিরডি থেকে ভুবনেশ্বর ফিরছিলেন, একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন তিনিও। তাঁদেরই যখন এই অবস্থা, তখন সাধারণ মানুষকে নিত্য রেলযাত্রায় কত সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

জবাবে রেলমন্ত্রী জানান, তিনি জানেন, কয়েকটি দুষ্কৃতী চক্র দূরপাল্লার ট্রেনে সক্রিয় কিন্তু সমস্যা হল, চোরেরা টিকিট কেটে ট্রেনে উঠছে, তারপর চলন্ত ট্রেনে সুযোগ বুঝে করছে চুরি ছিনতাই। তাই কেন্দ্র ২০ লাখের কাছাকাছি সিসিটিভি ক্যামেরা যাত্রীবাহী ট্রেন, রেল স্টেশন, রেল অফিস সহ নানা জায়গায় বসানোর কথা ভাবছে।

৩৯৪টি রেল স্টেশনে ইতিমধ্যেই বসানো হয়েছে ক্যামেরা।