নয়াদিল্লি: ভারতবর্ষের মহা মূল্যবান ‘কোহিনুর’ ব্রিটেন থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনার জন্য আজ লোকসভায় আবেদন জানালেন বিজেডি, অকালি দলের সদস্যরা। এর আগেও এই বিষয়ে সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছিলেন, ‘কোহিনুর’ উপহারস্বরূপ দেওয়া হয়েছিল, তাই ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। কিন্তু বিজেডি সাংসদ ভতৃহরি মেহতাব পাল্টা জানান ,  ব্রিটিশরা জোর করে মহারাজা রঞ্জিত  সিংহের ছেলে দিলীপ সিংহের থেকে ছিনিয়ে নেয় এই ‘কোহিনুর’ । কিন্তু আসল তথ্যটি অন্য-১৮৪৩ সালে  মহারাজা রঞ্জিত সিংহের সুপুত্র দীলিপ সিংহ, ক্ষমতায় আসেন। ১৮৪৯ সালে শিখ ও ব্রিটেনের মধ্যে যুদ্ধের পর, শিখ  রাজা হেরে যাওয়ায় হিরে ব্রিটিশদের হাতে আসে, যা স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে গভানর  জেনারেল লর্ড ডালহসিকে দেওয়া লাহোরে অবস্তিত এক ব্রিটিশ রাজনৈতিক সংস্হার চিঠিতে। ভারতের প্রতিপত্তি ‘কোহিনুর’ ইংল্যান্ডের রানীর কাছে যেই পরিস্হিতিতে গেছে তা এক প্রকার প্রতারণা করেই  নেওয়া। মহারাজা এই “কহিনুর” হিরে উপহার স্বরূপ পুরীর মন্দিরে দান করতে চেয়েছিলেন। ভতৃহরি মেহতাব আরও জানান ‘কোহিনুর’ হল  “শ্যামন্তক মনি”,যা ভগবান

শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গেও যুক্ত রয়েছে। ব্রিটেন সরকার যেন যত শীঘ্র সম্ভব তা ফারিয়ে দেয়। এদিকে ব্রিটেনের প্রধানমন্রী জানান, ‘কোহিনুর’ ফিরিয়ে আনলে ব্রিটিশ জাদুঘর ও কোষাগার খালি হয়ে যাবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সাফ জানিয়ে দিয়েছে ‘কোহিনুর’ ফিরিয়ে আনার জন্য  যথাযথ চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এই সংক্রান্ত যে সমস্ত তথ্য মিডিয়ায় দেখান হচ্ছে তা আদোও সঠিক নয়। এখন অপেক্ষা “কহিনুর”  ফিরিয়ে আনার ভারত সরকার কি ব্যবস্হা নেয়।