আমদাবাদ: প্রধানমন্ত্রীর অফিসে ই মেল করে মুম্বইয়ের এক চিকিৎসক খবর দিলেন, সিংহের ছানা বিক্রি হচ্ছে। অপরাধীকে ধরতে হিমসিম খেল রেল পুলিশ, স্থানীয় পুলিশ, বন দফতর, বিট গার্ড ও সিআরপিএফ। শেষমেষ জানা গেল, গোটাটাই ভুয়ো ছিল।

গাঁধী নামে ওই চিকিৎসক গুজরাতের জঙ্গলে সাফারি করতে যান। শুক্রবার দু’দুটি সাফারির পরেও একটিও সিংহ দেখতে পাননি তিনি। এ ব্যাপারে তিনি আফশোস করেন গাড়ি চালক আফজল মুনারের কাছে। আফজল তৎক্ষণাৎ তাঁকে জানায়, কুছ পরোয়া নেই, সাসানে তার খামার বাড়িতেই রয়েছে একটা সিংহ, একটা সিংহী আর চারটে ছানা। তার মধ্যে দুটো ছানা সে আবার মুম্বই বিক্রি করে দিচ্ছে।

বন্য জন্তু নিয়ে বেআইনি কারবারের সন্দেহে গাঁধী আফজলের ছবি মোবাইলে তুলে নেন, তার ফোন নম্বরও নিয়ে রাখেন। তারপর জাগ্রত নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে তখনই মেল করেন পিএমও-তে।

পিএমও থেকে তখনই খবর যায় রাজ্য সরকার ও বন দফতরের কাছে।

ব্যস, পড়ে যায় হইচই। গোটা শনিবার ধরে অভিযুক্তর সন্ধানে হন্যে হয়ে ঘোরেন হাজারখানেক রেলপুলিশ কর্মী, স্থানীয় পুলিশ, বন কর্মীরা, বিট গার্ড ও সিআরপি। সৌরাষ্ট্রর সব বড় রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে তল্লাশি চলে, খোঁজাখুঁজি চলে ট্রেনে। শেষে মোবাইল নম্বরের সূত্র ধরে সোমনাথের কাছে খোঁজ মেলে আফজলের।

জেরার মুখে আফজল জানায়, গোটাটাই মিথ্যে বলেছিল সে। না তার কোনও খামারবাড়ি আছে, না সেখানে আছে সিংহ। সিংহর ছানা বেচার কথাও পুরোপুরি বানানো ছিল। আসলে সে চেয়েছিল, লায়ন শো করে এমন কারও কাছে ওই চিকিৎসককে নিয়ে যেতে ও সিংহ দেখানোর ছলে অন্তত দশ-পনেরো হাজার টাকা আদায় করে নিতে।

জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাকে।