মুম্বই: রেকর্ড করেছেন মুম্বইয়ের বছর সাঁইত্রিশের যুবক বিরজুকিশোর সাল্লা। তবে এই রেকর্ড কেউ ছুঁতে চাইবেন বলে মনে হয় না। জাতীয় উড়ান বন্ধ বা ন্যাশনাল নো ফ্লাই তালিকায় প্রথম ভারতীয় হিসেবে নাম উঠেছে তাঁর।


এর মানে সাল্লা কোনও বিমানে আর সফর করতে পারবেন না।

অবশ্য পেশায় গয়না ব্যবসায়ী এই বিরজুকিশোর সাল্লা ধোয়া তুলসিপাতা নন, তাঁর বিরুদ্ধে বিমানের নিয়মকানুন ভাঙার একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে। গত বছর ৩০ অক্টোবর মুম্বই থেকে দিল্লিমুখী জেট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে টয়লেটের মধ্যে তিনি একটি চিরকুট রেখে আসেন বলে অভিযোগ, তাতে লেখা ছিল, বিমানে বোমা আছে, তা হাইজ্যাক করে নিয়ে যাওয়া হবে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে। এ জন্য আমদাবাদে এমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করা হয় বিমানটির, অকারণে ভয় ছড়ানোর জন্য তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়।

এর আগেও তিনি বিমানে আরশোলা নিয়ে ঢুকে বিমানসংস্থার নামে দোষ দিয়েছিলেন।

চিরকুটের ঘটনার পর ৫ বছরের জন্য সাল্লাকে তাদের সব বিমান থেকে নিষিদ্ধ করে জেট এয়ারওয়েজ। অ্যান্টি হাইজ্যাকিং আইনেও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তৎকালীন অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী অশোক গজপতি রাজুর পরামর্শমত ডিজিসিএ এবার জানিয়েছে, ভাল্লার নাম পাকাপাকিভাবে নো ফ্লাই লিস্টে তুলে দিল তারা।

কোটিপতি ব্যবসায়ী সাল্লার জাভেরি বাজারে গয়নার রমরমা ব্যবসা আছে। জেরায় তিনি বিমানে হাইজ্যাকিংয়ের ভয় দেখিয়ে চিরকুট রাখার যে কারণ দেখান তা জেনে চমকে উঠতে হয়। তিনি বলেন, তাঁর বান্ধবী চাকরি করেন জেট এয়ারওয়েজের দিল্লি অফিসে, জেট যাতে সেই অফিস বন্ধ করে দেয় ও বান্ধবী মুম্বইয়ে তাঁর কাছে ফিরে আসেন, সেই লক্ষ্যেই এমন কাণ্ড ঘটান তিনি।