মুম্বই: গেমের নাম ব্লু হোয়েল। চ্যালেঞ্জ দেওয়া হয় মোট ৫০টা। প্রথমদিকে সোজা- ভোর ৪টের সময় উঠে ভয়ের ছবি দেখা, পরের দিকে অস্বস্তিকর- হাত কেটে তাতে কিছু লেখা বা আঁকা। আর একদম শেষে? ছাদ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ে জীবন শেষ করে দেওয়া। তবে মুখে করেছি বললে চলবে না। সব কিছুর ভিডিও তুলে প্রমাণ পাঠাতে হবে।


ভারতে সম্ভবত এই গেমের প্রথম বলি হল মুম্বইয়ের আন্ধেরির এক ১৪ বছরের কিশোর। যে বহুতলে তার বাস, তার ৮ তলা থেকে শনিবার ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে সে।

পুলিশ সূত্রে খবর, ব্লু হোয়েল গেমের নেশা ছিল ছেলেটির। কিন্তু গেমের চ্যালেঞ্জ মেটাতেই এই আত্মহত্যা কিনা তা এখনও জানা যায়নি।

আন্ধেরির একটি আন্তর্জাতিক স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র এই কিশোর বড় হয়ে পাইলট হতে চাইত। এ জন্য রাশিয়া গিয়ে পড়াশোনা করার ইচ্ছে ছিল তার। শনিবার এক প্রতিবেশী তাকে দেখতে পান, ছাদ ঘেরা পাঁচিলের ওপর দিয়ে সম্ভবত সেলফি ভিডিও তুলতে তুলতে হাঁটছে সে। তারপরেই নীচে ঝাঁপ দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনা আত্মহত্যা ছাড়া কিছু নয়।

এখনও পর্যন্ত গোটা বিশ্বের কয়েকশো কিশোরের প্রাণ কেড়েছে ভয়ানক এই অনলাইন গেম। রাশিয়া থেকে এই গেমের উৎপত্তি, সেখানকার বহু ছেলেমেয়ে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার নেশায় মরণঝাঁপ দিয়েছে। ব্লু হোয়েল যিনি তৈরি করেছিলেন, এ বছরের শুরুতে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ছেলেমেয়ে এই গেমের নেশায় পড়েছে কিনা দেখতে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘোরাঘুরি করেছে মেসেজ। এই গেমে ৫০টি চ্যালেঞ্জ পূরণ করতে হয়। প্রতিটি ধাপ পার হওয়ার সময় খেলোয়াড়কে তার বিশ্বাসযোগ্য ফটোগ্রাফ পাঠাতে হয় গেমের সঞ্চালককে। আর একদম শেষ চ্যালেঞ্জ হল, ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়া, তবে ভিডিও বা ফটোগ্রাফের মাধ্যমে প্রমাণ রেখে।

যদি সত্যিই এই কিশোরের আত্মহত্যা এই অনলাইন গেমের কারণে হয়, তবে এটাই এ দেশে ব্লু হোয়েলের শিকার হওয়ার প্রথম নিদর্শন।