মুম্বই: ৫০ হাজার টাকায় ভাড়াটে খুনি নিয়ে ছেলেকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার মা। ভায়ান্দার ওয়েস্ট থেকে ৫৫ বছরের ওই মহিলাকে গ্রেফতার করেছে ভাসাই থানার পুলিশ। আসলে মাদকাসক্ত ছেলে রামচরণের জন্য ওই মহিলার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। গত ছয় মাস ধরে ওই ছেলে মায়ের যৌন নিগ্রহ করছিল। এজন্য রজণী নামে ওই মহিলা বড় ছেলে সীতারামকে রামচরণকে মেরে ফেলতে বলেন।


সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা গেছে যে, গত ২১ আগস্ট পুলিশ রামচরণের দেহ উদ্ধার করে। তার গলায় ছুরির কোপ দেখতে পাওয়া যায়। তদন্তে পুলিশ দেখতে পায়, নিহতের হাতে রামচরণ ও রজণী নাম ট্যাটু করা রয়েছে। এরপর পুলিশ নিহতের ছবি পালঘর, ঠানে,মুম্বই এবং নবি মুম্বইয়ের বিভিন্ন থানায় পাঠায়।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভায়ান্দার থানায় সুনীতা শর্মা নামে এক মহিলা রামচরণকে শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ রামচরণের বাড়িতে যায়। প্রথমে রজণী পুলিশকে জানান যে, গত ১৯ আগস্ট রামচরণ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তারপর থেকেই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ সে রাখেনি।

পরে পুলিশের জেরায় ভেঙে পড়েন রজণী। তিনি রামচরণকে খুনের কথা কবুল করেন।

রজণী পুলিশকে জানান, তাঁর ছেলের যৌন নিগ্রহ স্বভাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। তাঁর অভিযোগ, বছর দুয়ের আগে গ্রাম থেকে সত্ মাকে শহরে এনে তাঁকে ধর্ষণ করেছিল।

কিছুদিন আগে থেকেই তাঁকেও রামচরণ নিগ্রহ করতে শুরু করে বলে রজণী অভিযোগ করেছেন। ধৃত বলেছেন, ছেলের এই সব কাজ আর সহ্য করতে পারছিলেন না। অত্যাচার থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রামচরণকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন তিনি।

গত ২০ আগস্ট সীতারাম তার দুই বন্ধু রাকেশ যাদব ও কেশব মিস্ত্রিকে ষড়যন্ত্রে সামিল করে। এ জন্য ওই দুজনকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। এরপর রামচরণকে খুন করে তার দেহ জলে ফেলে দেওয়া হয়।

রজণীর পাশাপাশি সীতারাম, রাকেশ ও কেশবকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ।