মুম্বই:  ফরিদা ভারতী নামে এক মহিলার বাড়িতে মধুচক্র ফাঁসের পর তাকে জেরায় যে তথ্য উঠে এলে তাতে চক্ষু চড়কগাছ বইসার থানার পুলিশের। ওই বাড়ির শৌচাগার থেকে যে ফরিদার স্বামীরই কঙ্কাল বেরোবে এমন কথা সম্ভবত ভাবতেও পারেনি পুলিশ। ফরিদার বাড়িতে প্রথমবার হানা দিয়ে পুলিশ মধুচক্র থেকে চার মহিলাকে উদ্ধার করেছিল। দ্বিতীয়বার হানা গিয়ে ওই বাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পুলিশ উদ্ধার করল ফরিদার স্বামী সহদেবের কঙ্কাল। ১৩ বছর আগে ৩০ বছরের সহদেবকে খুন করে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দিয়েছিল ফরিদা।
৪৩ বছরের ফরিদা তার গাঁধীপাড়ার বাড়িতে দেহব্যবসা চালায় বলে খবর পেয়ে গত সোমবার পুলিশ প্রথম হানা দেয়। পুলিশ চার মহিলাকে উদ্ধার করে এবং এক ক্রেতাকে গ্রেফতার করে। গত মঙ্গলবার রাতে পুলিশ জানতে পারে যে, শুধু মধুচক্র চালানোই নয়, ফরিদা তার স্বামী সহ বেশ কয়েকজনকে খুন করেছে। বইসার ছানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর কিরণ কাবাডি এ কথা জানিয়েছেন।
পুলিশের জেরায় ফরিদা স্বামীকে খুনের কথা কবুল করে। কাবাডি জানিয়েছেন, উর্দ্ধতন আধিকারিকদের কাছ থেকে ছাড়পত্র পেয়ে গত বুধবার তাঁরা সহদেবের কঙ্কাল সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে বের করেন। ফরিদা জানিয়েছে, ঘুমন্ত অবস্থায় সহদেবের মাথায় আঘাত করে সে তাকে খুন করে। হত্যার কারণ এখনও পরিষ্কার নয়। ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।