৪৫ বছরের আনওয়ারি মুম্বইয়ের মানখ্রুদ এলাকার আম্বেডকর বস্তির বাসিন্দা। ছোট ছেলে নাদিম নইম, তার স্ত্রী ও বড় দুই ছেলে আর তাঁদের স্ত্রীদের নিয়ে তাঁর সংসার। ড্রাগাসক্ত নাদিম বছর দুয়েক আগে বিয়ে করে আনে এলাহাবাদের এক মহিলাকে। বিয়ের পর নিয়মিত স্বামীর মারধর আর অত্যাচারের শিকার হয়ে পুত্রবধূ বাড়ি থেকে চলে যান। তখন আনওয়ারি তাঁকে ফিরিয়ে আনেন। বলেন, নাদিম আর মারবে না তাঁকে, ছেড়ে দেবে ড্রাগও। যদি এরপরেও নাদিম তাঁকে মারধরের চেষ্টা করে, তবে তিনি তাঁকে বাঁচাবেন।
মঙ্গলবার রাতে নাদিম বাড়ি ফেরে ড্রাগাসক্ত অবস্থায়। আনওয়ারি বুঝতে পারেন, এবার বৌকে মারতে শুরু করবে সে। অন্য ছেলে ও পুত্রবধূদের পাশের বাড়ি শুতে পাঠিয়ে দেন। তাই দেখে নাদিম মাকে ধরেই পেটাতে শুরু করে। আনওয়ারি চুপ করে সহ্য করেন সব অত্যাচার।
ছেলে মারধর করে ক্লান্ত হয়ে পড়লে তিনি তাকে ঠেলে দেন একটি ইস্পাতের মইয়ের পাশে। তারপর নিজের ওড়না তার গলায় বেঁধে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেন তিনি।
ছোট ছেলের মৃতদেহের পাশে বসে সারা রাত কেঁদে কাটান এই মহিলা। পরদিন ভোরে নাদিমের স্ত্রী ঘরে ফিরে এই দৃশ্য দেখতে পান।
পরিবারকে আনওয়ারি জানান, পুত্রবধূকে অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচাতে ছেলেকে মেরে ফেলা ছাড়া তাঁর আর উপায় ছিল না। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।