নয়াদিল্লি: সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে মহারাষ্ট্র নিয়ে উত্তাল লোকসভা। মহাত্মা গাঁধীর মূর্তির সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেস সহ আরও একাধিক বিরোধী দলের। লোকসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেসের সাংসদরা। মূলত বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগেই সরব হয়েছেন তাঁরা। এদিন লোকসভায় হাজির থাকলেও শেষ পর্যন্ত কোনও প্রশ্ন করেননি রাহুল গাঁধী। মহারাষ্ট্রে একরাতের মধ্যে যেভাবে এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের হাত ধরে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ গ্রহণ করেছেন, তার কড়া নিন্দা করেন রাহুল। সংসদে এসে সনিয়া পুত্র বলেন, “প্রশ্ন করতেই এসেছিলাম। কিন্তু মহারাষ্ট্রে যেভাবে গণতন্ত্রের হত্যা করা হয়েছে সেখানে আমার আর প্রশ্ন করার কোনও অর্থই নেই।” এরপর আর কোনও কথা না বলেই বসে পড়েন রাহুল গাঁধী।



গত শনিবার সকালে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার। শনিবার সকালের এই ঘটনায় স্তম্ভিত হয়ে যায় বিরোধীরা। বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে এক সুরে সরব হন শিবসেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস নেতারা। পরে বিজেপির এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যায় বিরোধীরা। সেই মামলায় আজ মহারাষ্ট্র সরকার, দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ও অজিত পওয়ারকে নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য নোটিস দেয় শীর্ষ আদালত। এদিকে মুখ্যমন্ত্রিত্ব টিকিয়ে রাখতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে মরিয়া দেবেন্দ্র ফড়নবীশ। যদিও এনসিপি প্রধানের দাবি, তাদের ৫৪ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৯ জন দলের সঙ্গেই রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ তুলে সংসদে সরব হল কংগ্রেস। অভিযোগ, ‘গণতন্ত্র হত্যার’।