নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক আবহাওয়া একেবারে গোলমেলে। রাজনীতির বিশারদেরা যখন অনুমান করছিলেন মহাজোটের (এনসিপি-কংগ্রেস-শিবসেনা) ঘোড়ায় চেপে কুর্সিতে বসবেন উদ্ধব ঠাকরে, তখনই একেবারে হাওয়ার মুখ ঘুরিয়ে বাজিমাত করে বসেছেন দেবেন্দ্র ফডনবীশ। মুখ্যমন্ত্রিত্বের লড়াইয়ে এই মুহূর্তে জয়ী দেবেন্দ্রই। সংখ্যা প্রমাণ করতে না পারলেও এনসিপি নেতা অজিত পওয়ারের হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে ফেলেছেন তিনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিতের সমর্থন আদায় করে আসলে খেলা ঘুরিয়েছেন অমিত শাহ। কর্ণাটক, হরিয়ানায় যেভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলেও সরকার গড়েছে বিজেপি এখানেও সেই একই ফর্মুলা প্রয়োগ করেছেন ‘বিজেপির চাণক্য’। তবে সেটা আরও শৈল্পিকভাবে। সবটাই হয়েছে তলে তলে। অনেকে আবার শিবসেনা-এনসিপি কথাবার্তার মধ্যেই নরেন্দ্র মোদি ও শরদ পওয়ারের বৈঠককেও নজরে রাখছেন।


শনিবার সকালে নিঃশব্দে শপথ সমারোহ শেষ করেছেন দেবেন্দ্র ও অজিত। এবার সরকার গড়তে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁদের। তবে এনসিপি-র বিধায়কদের সমর্থন আদায় করা যে সহজ হবে না, তা ভাল করেই জানেন সদ্য শপথ নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন উদ্ধবও। আজই এনসিপি-র ‘রেনেসাঁ ম্যান’ শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। আর এই বৈঠকের পরই এনসিপি মুখপাত্র কার্যত বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসেছেন। ‘খেলা শুরু’, ট্যুইট এনসিপি মুখপাত্রের। এই ইঙ্গিতপূর্ণ ট্যুইটে  পরিষ্কার করে বলা হয়েছে, এই খেলা হবে দুই নেতার মধ্যে। একজন এনসিপি নেতা তথা ‘রেনেসাঁ ম্যান’ শরদ পওয়ার এবং অন্যজন ‘বিজেপির চাণক্য’ অমিত শাহ।





এদিক মহারাষ্ট্রের মহানাটক পৌঁছেছে শীর্ষ আদালতের দরজায়। আইনি লড়াইয়ে জয় কার হবে সেবিষয়ে যেমন নজর থাকবে দেশের তেমনই নজরে থাকবে এই শরদ-শাহ দ্বৈরথেও।