নয়াদিল্লি: বিজেপি উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জনাদেশ নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে। কিন্তু এবারের নির্বাচনে কোনও মুসলিম প্রার্থীই ছিল না বিজেপির। ৪০৩ সদস্য বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৩১২। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরপ্রদেশে বিজেপির কোনও মুসলিম বিধায়কই নেই। এই অবস্থায় বিজেপি মুসলিমদের প্রতি বার্তা দিতে চায়। সেজন্য রাজ্যের মন্ত্রিসভায় মুসলিমদের প্রতিনিধি থাকবেন বলে বিজেপির পক্ষ থেকে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।


মুসলিমদের মধ্যে বিজেপির ভোট ভিত্তি একেবারেই নগন্য। প্রশ্ন উঠেছে, এরপরও এই সিদ্ধান্ত কেন? আসলে বিজেপির পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে যে, মুসলিমদের একাংশ, বিশেষ করে মহিলা ও যুবকরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়ন কর্মসূচীতে আস্থা রেখেছেন এবং তিন তালাক নিয়ে দলের অবস্থানে খুশি। এই কারণেই মন্ত্রিসভায় মুসলিম মন্ত্রী রেখে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বার্তা দিতে চাইছে বিজেপি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা বেঙ্গাইয়া নাইডু বলেছেন, বিধানসভায় কোনও মুসলিম সদস্য না থাকলে কী হবে, বিধান পরিষদে তো কোনও না কোনও সদস্য থাকবেন..সরকারে মুসলিম প্রতিনিধি থাকবেন।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের নির্বাচনের প্রচারে উন্নয়নের সঙ্গে পার্টির ট্রাডিশনাল সমর্থক ভিত্তির কথা মাথায় রেখে হিন্দুত্বের মিশেল ঘটিয়েছিল বিজেপি। নির্বাচনে ব্যাপক সাফল্যের পর মন্ত্রিসভায় কোনও মুসলিম সদস্য রাখলে হিন্দু দক্ষিণপন্থী পার্টি হিসেবে দল সম্পর্কে যে ধারনা রয়েছে, তা বদলানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।

১৯৯১-তেও তত্কালীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিংহ মুসলিম নেতা আইজাজ রিজভিকে বিধান পরিষদের সদস্য করে মন্ত্রিসভায় এনেছিলেন।

উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যার ১৮ শতাংশ মুসলিম। এরপরও দলের প্রার্থী ৩৮৩ জনের তালিকায় কোনও মুসলিম না রাখার সিদ্ধান্তের সমর্থনে বেঙ্গাইয়া বলেছেন, এটা কোনও ভুল নয়, আসলে তা দলের দুর্বলতা। আমরা জয়ী হতে সক্ষম, এমন কোনও যোগ্য প্রার্থী পাইনি। তিনি দাবি করেছেন, তিন তালাক ইস্যুতে মুসলিম মহিলারা, বিশেষ করে অল্প বয়সীরা বিজেপির পক্ষে ভোট দিয়েছেন।