মুজফ্ফরনগর:  উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে এক মহিলাকে স্বামী এবং দু বছরের শিশুর সামনে গণধর্ষণ। মহিলাকে যখন ধর্ষণ করা হয়, সেসময় মহিলার স্বামী ও সন্তানকে বেঁধে রেখেছিল দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে শিশুটির গলায় ছুরি ঠেকিয়ে রেখে মাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার জেরে এলাকায় চাঞ্চল্য।


পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে স্বামীর সঙ্গে  মোটর সাইকেলে চেপে বাসেরা গ্রাম থেকে ওই মহিলা ও তাঁর সন্তান বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় গাড়ি থেকে নেমে চারজনের ওই দুষ্কৃতী দল ঘিরে ধরেন মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে। তাঁদেরকে বলা হয় গঙ্গা ক্যানাল সেতু দিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। অন্য কোনও রাস্তা আছে কিনা জানতে চাওয়া হয় মহিলার স্বামীর কাছে। সেই কথা বলতে বাইক থামাতেই, ওই ব্যক্তি, মহিলা এবং তাঁদের ছোট সন্তানকে টেনে কাছের আখের খেতে নিয়ে যায় চারজনের ওই দল।

তারপর ছোট্ট শিশুটির গলায় ছুরি ঠেকিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়। ভোপা থানার এক অফিসার জানান, ঘটনার পর বিনা বাধায় এলাকা থেকে পালিয়ে যায় ওই দলটি। ঘটনাস্থলের সবচেয়ে কাছে ওই থানাই রয়েছে। এরপর চিতকার করলে পাশের খেত থেকে এক চাষী এসে তাঁদের সাহায্য করেন। ১০০ ডায়েল করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

ভোপার সার্কেল অফিসার রিজওয়ান আহমেদ জানিয়েছেন, ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৭৬ ডি এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে ওই চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। সূত্রের সন্ধানে ঘটনাস্থলে গিয়ে খেতের আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। সিনিয়র এসপি অন্তত দেব তিওয়ারি ঘটনাস্থলে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভোপা পুলিশকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।