শুধু তাই নয়, দিল্লিতে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কিছু লোকজন। বাড়ির দেওয়ালে লেপা হয় কালো কালি। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'এটার পিছনে যে কেন্দ্রের শাসক দলের হাত তা বলাই বাহুল্য। এই ধরনের নিন্দনীয় ঘটনাই বিজেপি ঘটিয়ে থাকে। এর আগে দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতেও তারা একই কাণ্ড ঘটিয়েছিল।'
সৌগত রায়ের বক্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন, এভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস সারা দেশে কালি লাগানোর কাজই করছে, এবার সেই কালি নিজেদের ঘরে এসে লেগেছে। মানুষই তাদের বাড়িতে চুনকালি লাগিয়ে দিচ্ছে।
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আরও বলেন, এটা নিউটনের তৃতীয় সূত্রের মতো, যা করবে, তার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া হবে। 'ধর্মের কল বাতাসে নড়ে'।
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলা ঘিরে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। হামলা চালাল কারা? তা নিয়ে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে শুরু হয়েছে তুমুল বাগযুদ্ধ। আজ ডায়মন্ড হারবারের সভামঞ্চ থেকে জে পি নাড্ডা হুঙ্কার ছাড়েন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলায় চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। পাল্টা সুর চড়িয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এই ঘটনা মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। রাজ্য পুলিশও ট্যুইট করে বলেছে, নাড্ডার কনভয়ে কিছু হয়নি। অন্যদিকে, মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, এই ঘটনায় তাঁদের কেউ জড়িত থাকলে, তাঁর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে বাংলায় নৈরাজ্যের অভিযোগে সরব হয়েছে বিজেপি! ব্যক্তি যেহেতু বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি, তাই হইচই দেশজুড়ে! সবার নজর বাংলায়। অমিত শাহ একের পর এক ট্যুইট করে বলছেন
''আজ বাংলায় বিজেপি-র সভাপতি জেপি নড্ডাজির উপর আক্রমণ খুব নিন্দনীয়। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এই হিংসার জন্য বাংলার সরকারকে রাজ্যের শান্তিকামী মানুষদের জবাব দিতে হবে।...তৃণমূল শাসনের অধীনে বাংলা অত্যাচার, অরাজকতা ও অন্ধকারের যুগে পরিণত হয়েছে। টিএমসি-র অধীনে বর্তমানে বাংলায় যে ভাবে রাজনৈতিক হিংসা প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে স্বীকৃতি পাচ্ছে এবং চরম আকার নিচ্ছে তা, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী সব মানুষের কাছেই দুঃখজনক ও উদ্বেগজনক।''