কলকাতা: রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজি-কে তলব নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অজয় ভাল্লাকে চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, 'সংবিধান অনুসারে, আইন শৃঙ্খলা রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের মুখ্য সচিব ও ডিজি-কে কীভাবে তলব করতে পারেন? সংবিধানে কী তার সংস্থান রয়েছে? মনে হচ্ছে এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আছে। '


বৃহস্পতিবার বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায় কড়া ভূমিকা নিয়েছে কেন্দ্র। নজিরবিহীন ভাবে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয় মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে। ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায়, মুখ্যসচিব এবং ডিজিপি-কে তলব করেছে অমিত শাহর অধীনস্থ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

শুক্রবার সকালে বিজেপির সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ প্রথম ট্যুইট করে জানান, n
‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের ডিজিপিকে আগামী ১৪ ডিসেম্বর দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জানা উচিত যে, ওঁর জঙ্গলরাজে লাগাম টানার জন্য দেশে সংবিধান এবং অসংখ্য আইন রয়েছে’।

প্রশাসন সূত্রে খবর, কনভয়ে হামলার ঘটনায় রাজ্যপালের কাছে রিপোর্ট চেয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। তারপর রিপোর্ট পাঠান জগদীপ ধনকড়। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই মুখ্যসচিব ও ডিজিপি-কে দিল্লিতে নজিরবিহীন তলব করা হয়। যদিও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাল্টা চিঠি দিয়ে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার গোটা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। তাই আমাদের উপস্থিতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।

এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন,  মুখ্যসচিব বা জিডিপি-কে কি এভাবে সশরীরে ডেকে পাঠানো যায়! এই নিয়ে প্রাক্তন বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় বলছেন, ''সংবিধানের দুটো ধারা মনে পড়ছে। একটা ২৫৭ ও আর একটা ৩৫৫। ২৫৭ ধারায় বলছে, সরকার তার প্রশাসনিক ক্ষমতা এমনভাবে ব্যবহার করতে পারে না যেটা কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগে কোনও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করতে পারে। এখানে প্রয়োজন হলে কেন্দ্র সরকার নির্দেশ দিতে পারে।''

এইবার একধাপ এগিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রককে চিঠিই পাঠলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।