জম্মু: জম্মুর নাগরোটা সেনা শিবিরে হামলার নেপথ্যে জইশ-ই-মহম্মদের যোগ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এরই মধ্যে মঙ্গলবার জম্মুর জোড়া হামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নিতে পারে জাতীয় তদন্বতকারী সংস্থা (এনআইএ) বলে জানা গিয়েছে।


মঙ্গলবার গভীর রাতে নাগরোটার ১৬ কোরের সেনা শিবিরে হামলা চালায় ৩ সশস্ত্র জঙ্গি। হামলায় ২ অফিসার এবং ৫ জওয়ান নিহত হন। পরে বাহনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ে খতম হয় তিন জঙ্গিও।


এক পদস্থ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, জঙ্গিদের কাছ থেকে উর্দুতে ‘জইশের আফজল গুরু স্কোয়াড’ লেখা উদ্ধার হয়েছে। ডিজিপি কে রাজেন্দ্র কুমার বলেন, পুলিশ এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তদন্ত চালাচ্ছে।


জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গিদের থেকে ওই নোট ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে এক-৪৭ রাইফেল, ম্যাগাজিন, আন্ডার ব্যারেল গ্রেনেড লঞ্চার (ইউবিজিএল), গ্রেনেড। উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বিস্ফোরকও। সেগুলিকে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।


গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানগুলিতে হামলা করার জন্য গত বছরই এই স্কোয়াড গঠন করা হয় আফজল গুরুর নামে। গত নভেম্বর মাসে এই গোষ্ঠীর নাম প্রথম প্রকাশ্যে আসে, যখন নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে জম্মুর তাঙধরে অবস্থিত গোর্খা রাইফেলসের ছাউনিতে আত্মঘাতী হামলা চালায় জঙ্গিরা।


সেনাবাহিনী তৎপর হওয়ায় হামলা এড়ানো সম্ভব হয়। সেই সময় নিহত জঙ্গিদের থেকে এই ধরনের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। এরপর পঠানকোট হামলার সময়ও ফের এই স্কোয়াডের নাম উঠে আসে।


সেই সময় পঞ্জাব পুলিশ সুপারের সঙ্গে যাকে অপহরণ করেছিল জঙ্গিরা, সেই রাজেশ জানান, জঙ্গিরা বলছিল, তারা ২০০১ সালে পার্লামেন্ট হামলার দোষী আফজল গুরুর ফাঁসির বদলা নিতে চায়।


ডিজিপি আরও জানান, খতিয়ে দেখা হচ্ছে, এই জঙ্গিরাও সাম্বার হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁড়া সুড়ঙ্গ দিয়ে এদেশে প্রবেশ করেছিল কি না। দুই হামলায় জড়িত জঙ্গিরা এই স্কোয়াডের সদস্য কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।


এদিকে, নাগরোটা ও সাম্বার তদন্তভারের দায়িত্ব নিতে পারে এনআইএ বলে খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক শীর্ষ কর্তা জানান, এনআইএ-কে দিয়ে তদন্ত করার ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। মঙ্গলবারের জোড়া হামলায় ২ মেজর সহ সাত সেনাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, আহত হয়েছেন বিএসএফ-এর ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার সহ আট নিরাপত্তাকর্মী।