হায়দরাবাদ: জরুরি অবস্থাকে দেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে অন্ধকারতম অধ্যায় আখ্যা দিয়ে স্কুলপাঠ্যে এটি অন্তর্ভূক্ত করার পক্ষে সওয়াল করলেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। তিনি বলেছেন, ‘জরুরি অবস্থা একটি প্রজন্মের মনে ক্ষত হয়ে আছে। এখন সেটা নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। তরুণ প্রজন্মের পক্ষে জরুরি অবস্থার কথা মনে রাখা খুব কঠিন। অল্প কয়েকজনই সেই সময়ের মানসিক যন্ত্রণা এবং অত্যাচারের কথা স্মরণ করতে পারে। যদিও চার দশক পেরিয়ে গিয়েছে, তবু জরুরি অবস্থাকে ভুলে যাওয়া এবং ক্ষমা করা উচিত নয়। আমি মনে করি, সব স্কুলপাঠ্যে জরুরি অবস্থা থাকা উচিত। এর ফলে তরুণ প্রজন্ম জানতে পারবে কীভাবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল এবং কীভাবে সেটি পুনরুদ্ধার করা হয়। আমার মনে হয়, এটা অত্যন্ত জরুরি।’


জরুরি অবস্থার ৪২-তম বর্ষপূর্তিতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল বিজেপি-র তেলঙ্গানা শাখা। সেই অনুষ্ঠানেই বেঙ্কাইয়া বলেন, কেন জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছিল? জরুরি অবস্থা কী? ১৯৭৫ সালে কী হয়েছিল? কীভাবে জরুরি অবস্থার অপব্যবহার হয়েছিল এবং এর জন্য কে দায়ী, সেটা তরুণ প্রজন্মের জানা উচিত।

জরুরি অবস্থার সময় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন বেঙ্কাইয়া। তাঁর দাবি, তিনটি সংবাদমাধ্যম ছাড়া আর কেউ জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করেনি। বিচারবিভাগও মানুষের পাশে দাঁড়ায়নি। বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকাও ছিল লজ্জাজনক। তাঁরা জরুরি অবস্থার সমালোচনা করতে পারেননি। এবার সংবাদমাধ্যম ও সমাজবিজ্ঞানীদের নতুন করে জরুরি অবস্থার কথা বলা উচিত।